নজরবন্দি ব্যুরো: অবশেসে ওড়িশা থেকে উদ্ধার হল বিশ্বভারতীর ‘অপহৃত’ বিদেশি ছাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশের যৌথ অভিযানে ওড়িশা সীমান্ত থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে আট জন, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। আর বাকি চারজন বীরভূমের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চলন্ত এক্সপ্রেসে আগুন, দাউ দাউ করে জ্বলছে কামরা, আতঙ্কিত যাত্রীদের সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে
পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর বিদেশি ছাত্র অপহরণের ঘটনায় উঠে এসেছে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ। ঘটনায় বীরভূম জেলা তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন যে, ওই বিদেশি ছাত্র চুল কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আর সেই কারবারে তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল ধৃত ১২ জন। আর টাকাপয়সা সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরে মায়ানমারের ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর এক বিদেশী পড়ুয়াকে অপহরণের অভিযোগে শোরগোল ছড়িয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) চত্ত্বরে।। আর এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত শুরু করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অপহৃত ছাত্রের নাম পান্না চা। তিনি আদতে মায়ানমারের বাসিন্দা। শান্তিনিকেতনের ইন্দিরাপল্লি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই ছাত্র। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতে পিএইচডি করছেন। এই ঘটনায় ওই ছাত্রের এক বন্ধুর জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ সাত থেকে আটজন দুষ্কৃতী গাড়ি নিয়ে ওই ভাড়া বাড়িতে চড়াও হন। জোরপূর্বক ওই ছাত্রটিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
এরপরেই এই ঘটনার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায় অপহৃত ছাত্রের বন্ধু। তার পরই নড়েচড়ে বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। থানায় মেল করে অভিযোগ দায়ের করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আর তদন্তের শুরুতেই বীরভূম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশের যৌথ অভিযানে ওড়িশা সীমান্ত থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয় বলেই পুলিশ সূত্রে জানা যায়।