আসছে ব্যাঙ্ক আইন সংশোধনী বিল, বেসরকারিকরণের পথে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক
আসছে ব্যাঙ্ক আইন সংশোধনী বিল, বেসরকারিকরণের পথে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক

নজরবন্দি ব্যুরোঃ দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে আগামী অধিবেশনে আসছে ব্যাঙ্ক আইন সংশোধনী বিল। ২৯ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ওই অধিবেশনে ২৬ টি বিলের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্ক সংশোধনী আইন বিল।

আরও পড়ুনঃ বৈঠকের সমাপন, শিল্প সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন মমতা

আগামী অধিবেশনের আনা এই বিলে ১৯৭০ এবং ১৯৮০ সালে সালের ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের দুটি আইন এবং ১৯৪৯ ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশোধন করা হবে। যার মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে। চলতি বছরের বাজেট পেশের সময় ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই মতো চলছে গোটা প্রক্রিয়া শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। 

আসছে ব্যাঙ্ক আইন সংশোধনী বিল, এর প্রতিবাদে অফিসারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন আইবক দেশব্যাপী ভারত যাত্রা শুরু করেছে। ব্যাঙ্ক অফিসার রা সমগ্র দেশব্যাপী সাক্ষরতা অভিযান ও গ্রাম সভা করছে গত এক মাস ধরে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও তাঁরা সামিল করেছেন তাঁদের সভাতে। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফেডারেশনের সর্বভারতীয় সহসভাপতি সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে যাত্রা করে আসানসোল, দুর্গাপুর, ধনবাদ ,পাটনা হয়ে আগামী ৩০ তারিখ দিল্লি পৌঁছবেন তাঁরা।

আসছে ব্যাঙ্ক আইন সংশোধনী বিল, পথে নামল আইবক

আসছে ব্যাঙ্ক আইন সংশোধনী বিল, বেসরকারিকরণের পথে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক
আসছে ব্যাঙ্ক আইন সংশোধনী বিল, বেসরকারিকরণের পথে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক

তিনি আরও বলেন, “গত এক বছর ধরে সমস্ত সরকারি ব্যাঙ্কগুলো লাগাতার লাভ করে চলেছে। পাশাপাশি একাধিক সরাকারী যোজনার জন্য অনন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।তার পরেও সরকারের সিদ্ধান্ত বদল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। একের পর এক বৃহৎ কর্পোরেটদের তোষামোদ করে চলেছেন কর দাতাদের পয়সায়। সরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও অসন্তুষ্ট। এটা আজ আর ব্যাংক কর্মচারীদের লড়াই নয় দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। এই লড়াইতে সামিল হচ্ছেন কৃষক, ছাত্র, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, ডাক্তার, ব্যাঙ্কের গ্রাহক ও অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মচারীরা। জন জাগরণ গড়ে তোলার জন্য এই ভারত যাত্রা”।