নজরবন্দি ব্যুরোঃ বেড নেই, এই একটা কথা আর আতঙ্ক নিয়ে ঘুরছে দেশের সব মানুষ। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ। বাড়ি বা গাড়িতেই মৃত্যু হচ্ছে রোগীর। ঝড়ের বেগে বাড়ছে দেশে করনার দ্বিতীয় ঢেউ। বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। চারপাশে হাহাকার আর আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছে একটা গোটা দেশ। অক্সিজেন আর বেডের অভাবে মরছে একটা গোটা দেশ। অবস্থা এতোটাই শোচনীয় একদিকে প্রশাসন প্রতিস্থাপন করছেন অক্সিজেন প্লান্ট তো অন্যদিকে সমান্তরাল ভাবে বাড়ানো হচ্ছে শ্মশানের চুল্লি।
আরও পড়ুনঃ রাজভবনে মিঠুন, বিজেপি জিতলে মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনিও দাবিদার?
প্রতি মুহুর্তে প্রিয়জনদের হারানোর আতঙ্ক নিয়ে বাঁচছে একটা গোটা দেশ। অক্সিজেন আর বেডের অভাবে মরছে একটা গোটা দেশ। ভারতের এই চরম দুর্দিনে সকল প্রতবেশী দেশ অক্সিজেন থেকে কিট সমস্ত রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও পরস্থিতি এখনো হাতের বাইরে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশে। চারপাশে হাহাকার, ভেঙে পড়ছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
এই খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়েও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন তাঁর রাজ্যে কোথাওকমতি নেই অক্সিজেনের, ঘাত্তি নেই হাসপাতালের বেডের। অথচ দিন যত এগোচ্ছে ততোই ফুটে উঠছে নিদারুন চিত্র। উত্তর প্রদেশের নয়ডায় বেডের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে পার্কিং লটে গাড়ির মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণী।
ঘটনা স্থল উত্তর প্রদেশের নয়ডা। স্থান, গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর পার্কিং লট।মৃত মহিলার নাম জাগৃতি গুপ্ত। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা জাগৃতি গ্রেটার নয়ডার ইঞ্জিনিয়ার। দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁর স্বামী মধ্যপ্রদেশেই ছিলেন। নয়ডায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত জাগৃতী প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অনবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁর বাড়ির মালিক নিয়ে যান হাসপাতালে।
কিন্তু বহুক্ষণ খোজার পরেও মেলেনি বেড। গাড়িতেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন জাগৃতি। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ রিসেপশন থেকে গাড়িতে জাগৃতিকে দেখতে আসেন ওই ব্যক্তি। গিইয়ে দেখেন সেখানে আসনের উপর জাগৃতিকে লুটিয়ে পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে ফের রিসেপশনে ছুটে যান ওই ব্যক্তি। হাসপাতালের কয়েক জন কর্মী তাঁর সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এসে জাগৃতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বেড নেই, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অপেক্ষায় থেকে গাড়িতেই মৃত্যু তরুণীর। পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। নয়ডায় এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ২০০। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ২১২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বারবার উন্নুমক্ত হচ্ছে দেশের এবং রাজ্যের করুণ অবস্থা। যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি হাসপাতাল।