নজরবন্দি ব্যুরো: নেতাজী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তাই তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করবেন, ছিল নেতাজীর জন্মদিন। তা বদলে গেলো রাজনৈতিক তরজায়। বাংলায় নেতাজী জয়ন্তী পালন করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব ঠিকঠাক চলার মধ্যে তাল কাটে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার আগে। হঠাৎ জয় শ্রী রাম ধ্বনি ওঠে। কোনো সাধারণ অনুষ্ঠান কে রাজনৈতিক আড্ডা বানিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে মঞ্চ ছাড়েন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর এই অপমানে এবং বাংলার সংস্কৃতিকে ছোট করার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন বাংলার সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির সাথে বাবার আদর্শ মেলেনা। দিনভর রাজনীতির শেষে মুখ খুললেন সুভাষ কন্যা।
এসব কিছুর মাঝেই বিতর্ক আরো একধাপ উস্কে দিয়ে আজ,রবিবার কৃষ্ণনগরের দলীয় সভা মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমর্থন করলেন নেতাজী জয়ন্তীতে ওঠা জয় শ্রী রাম ধ্বনির প্রসঙ্গকে। উল্টে আবার তোপ দাগলেন মূখ্যমন্ত্রী কে। রবিবার নদীয়ার উত্তরের বিজেপি শিক্ষা সেলের সংগঠনের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়ার হাসডাঙ্গা এলাকায় দলীয় বৈঠকে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে তিনি নেতাজী জয়ন্তীর বিতর্ক উস্কে দিয়ে একধাপ এগিয়ে গিয়ে সুভাষচন্দ্র কে নিয়ে সরাসরি রাজনীতি করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
এবং অবশ্যই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলকে এবং তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে সভামঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষ জানান ” রাম নাম যে শুনতে পারেনা, তার অন্তিম সময় এসে গেছে।” যাঁরা জয় শ্রী রাম স্লোগান ভয় পান তাঁদের রাজনীতি করাই উচিত নয় বলে, পক্ষান্তরে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। মনে করিয়ে দেন একসময় জয় শ্রী রাম বলার অপরাধে মানুষকে জেলে ভরেছেন বাংলার বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী।
এবং প্রসঙ্গে তিনি নিজের কথা বলে জানান তাঁকে প্রত্যহ কালো পতাকা দেখতে হয়, তাতে তো রেগে গিয়ে চলে জান না, তাহলে মূখ্যমন্ত্রী কেনো গেলেন, রাজনীতির অন্তিম সময় এসেগেছে তৃণমূলের বলেন তিনি। রবিবার মুর্শিদাবাদেও সব করেন, এবং সেখান থেকেও একই ইস্যুতে দিলীপ সরাসরি তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নেতাজী জয়ন্তী এবং জয় শ্রী রাম বিতর্কের পাশাপাশি মমতার ৪ টি রাজধানী প্রসঙ্গ তুলেও কটাক্ষ করেন। বলেন দিদিমণি বুঝে গেছেন দিল্লি যেতে আর পারবেন না,তাই আলাদা আলাদা রাজধানী চাইছেন।
নেতাজী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তাই তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করবেন, ভোট পূর্ব বাংলাতে এমনিতেই চলছে পাল্টার রাজনীতি। রাজনৈতিক স্তর থেকে মানুষ আক্রমনে নেমে আসছেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে। সেখানে দাঁড়িয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে বাংলায় যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে গতকাল, তাকেই একধাপ বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নদীয়ার সভা মঞ্চ থেকে দিলীপ স্পষ্ট জানান ” নেতাজী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, তাই তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করবো। কারোর এ ব্যাপারে হিম্মত আছে তো আটকে দেখাক।”