বছরের একেবারে শেষ লগ্নে গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতিষীয় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। ২৭ ডিসেম্বর বুধ নিজের গতি ও অবস্থানে পরিবর্তন আনছে, যা জ্যোতিষ মতে যোগাযোগ, বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও ব্যবসার ক্ষেত্রে স্পষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের সুফল পেতে পারেন পাঁচটি রাশির জাতক-জাতিকারা।
বুধের গোচর মানে কী?
জ্যোতিষশাস্ত্রে বুধের গোচর বলতে এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে তার গমনকে বোঝানো হয়। সাধারণত ২১ থেকে ২৫ দিনের ব্যবধানে এই পরিবর্তন ঘটে। এই সময় কথাবার্তা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাণিজ্য ও মানসিক স্পষ্টতার উপর বুধের প্রভাব বাড়ে বা কমে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায়, এই সময়ে বুধ তার কক্ষপথে সামান্য দক্ষিণমুখী সরে যায়—যাকে ‘দক্ষিণমুখী একগ্রহণ’ বলা হয়। জ্যোতিষ মতে, এই দিশা পরিবর্তন বুধের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং বিশেষ করে শিক্ষা ও ব্যবসার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
কোন রাশির জন্য শুভ?
এই বুধ গোচর মিথুন, কন্যা, বৃশ্চিক, মকর এবং কুম্ভ—এই পাঁচ রাশির জন্য বিশেষভাবে ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে। আর্থিক দিক থেকে এই সময় নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলতে পারে। অপ্রত্যাশিত কোনও উৎস থেকে আয় হতে পারে বা বিকল্প আয়ের পথ তৈরি হতে পারে।
কেরিয়ার ও কর্মক্ষেত্রে কী প্রভাব?
কর্মরতদের জন্য এই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে আপনার বক্তব্য ও পরিকল্পনা প্রভাব ফেলতে পারে সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতনদের উপর। বসের নজরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নতুন বছরে পদোন্নতি বা দায়িত্ব বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করতে পারে। চাকরি পরিবর্তনের কথাও অনেকের মাথায় আসতে পারে।


ব্যবসায়ীদের জন্য বার্তা
যাঁরা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জন্য বুধের এই গোচর যোগাযোগ বাড়ানোর সুযোগ এনে দিতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগ বা নতুন অংশীদারিত্বের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে লাভের অঙ্ক বাড়তে পারে বলে মত জ্যোতিষীদের।
সব মিলিয়ে, বছর শেষের আগে বুধের এই অবস্থান বদল অনেকের জন্যই অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাস্তব পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগত অবস্থান বিচার করাই শ্রেয়।










