মন্দারমণিতে তরুণী খুনের তদন্তে কিনারা, গ্রেফতার প্রেমিক ও তাঁর বন্ধু
Mandarmani murder case update

নজরবন্দি ব্যুরো: দিদির বাড়ি যাবেন বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই বছর ২৪ এর লাবণী দাস। তারপরেই মন্দারমণির চাঁদপুরে সমুদ্রসৈকত থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরেই এই ঘটনায় শোরগোল ছড়ায়। অবশেষে সেই খুনের কিনারা করল পুলিশ। যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তরুণীর প্রেমিকা এবং তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করল মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন: World Cup23: বিশ্বকাপের জন্য ঘোষণা হল ১৫ সদস্যের পাকিস্তান দল

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত প্রেমিক ওই যুবতীর জামাইবাবুর ভাই। তাদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু বেশকয়েকদিন আগেই তরুণী জানতে পারে যে, তার প্রেমিক অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে। তারপর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ লেগে থাকত। আর সেই কারণেই প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ওই যুবতী। আর এই কারণেই যুবতীকে খুন করেছে তার প্রেমিক। এমনটাই প্রথামিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

মন্দারমণিতে তরুণী খুনের তদন্তে কিনারা, গ্রেফতার প্রেমিক ও তাঁর বন্ধু

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকালে মন্দারমণি থেকে চাঁদিপুরের মাঝামাঝি জলদা এলাকায় দেহটি উদ্ধার হয়। এরপরেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ। পাশাপাশি তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, সমুদ্র সৈকতে একটি পাথরের উপর পড়েছিল তরুণীর দেহ। প্রথমে ওই এলাকার বাসিন্দারাই তরুণীর দেহটি দেখতে পান। এরপর তাঁরাই স্থানীয় থানায় খবর দেয়। তারপরেই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।

মন্দারমণিতে তরুণী খুনের তদন্তে কিনারা, গ্রেফতার প্রেমিক ও তাঁর বন্ধু

ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, ওই তরুণীর শরীরে কেবল অন্তর্বাস ছিল। আর কোনও পোশাক ছিল না। তরুণী ওই এলাকার বাসিন্দা নন। এখানে হয়ত ঘুরতে এসেছিলেন। তাঁকে মেরে ফেলে রেখে গিয়েছে বলেই দাবি স্থানিয়দের! তারপরেই তদন্তের শুরুতে তরুণীর মৃতদেহটি শনাক্তকরণ করতে মন্দারমণিতে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজনের দাবি করা হয়, বারাকপুরে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন লাবনী! এরপরেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ

মন্দারমণিতে তরুণী খুনের তদন্তে কিনারা, গ্রেফতার প্রেমিক 

মন্দারমণিতে তরুণী খুনের তদন্তে কিনারা, গ্রেফতার প্রেমিক ও তাঁর বন্ধু