নজরবন্দি ব্যুরোঃ ঠিক ছিল মঞ্চের ওপর থেকেই বার্তা দেবেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দর্শকদের মধ্যে থেকেই দেওয়া হচ্ছিল জয় শ্রীরাম স্লোগান। তাই আর মঞ্চে উঠলেন না। নীচ থেকে দাঁড়িয়েই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের সূত্রপাত হয়েছিল। আজ সেই ট্রেন উদ্বোধন হওয়ায় তিনি খুশি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সহ বেহালার সমস্ত মানুষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন তিনি।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মাতৃবিয়োগে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি। তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠান ছোট করার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি শেষকৃত্য থেকে এখনই ফিরেছেন। বিশ্রাম নিন। তিনি আরও বলেন, এ ক্ষতি অপূরণীয়। মায়ের শূন্যস্থান পূরণ হয় না। তবু আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব শোক কাটিয়ে উঠে আপনি আপনার কাজ করার শক্তি অর্জন করুন।

একইসঙ্গে এদিন ভার্চুয়ালি জোকা-তারাতলা মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এনিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মমতা। তিনি বলেন, আমি ২০১০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই জোকা-তারাতলা মেট্রো প্রকল্প অনুমোদন করেছিলাম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল শিলান্যাস করেছিলেন। আমার কাছে এই প্রকল্প স্বপ্নের মতো। তার আজ সূচনা হল।
এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। সেই সময় বন্দে ভারত ট্রেনের সামনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে উদ্দেশ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতেই মাঠে নামেন মন্ত্রীরা। মানুষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন মন্ত্রী সুভাষ সরকার। সবাইকে চুপ থাকার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। রেলমন্ত্রী নিজে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
মায়ের শূন্যস্থান পূরণ হয় না, সরকারি অনুষ্ঠানে শোকবার্তা মমতার

এর আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিতে উঠলেই জয় শ্রীরাম স্লোগান শুরু হয়। সেই সময় বক্তব্য রাখেননি। এদিন সুভাষ সরকারকে বলতে শোনা যায়, এদিন ভারত সরকারের অনুষ্ঠান। সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে মোটেই গোটা ঘটনায় খুশি নন তা স্পষ্ট।