রাজস্থান নয়, বাঁকুড়ার জয়পুরেই খুঁজে নিন প্রকৃতির নির্মল শান্তি ও গ্রামবাংলার রূপ। চলতি গরমে শহরের কংক্রিটের ঘেরাটোপে হাঁসফাঁস করছেন? পয়লা বৈশাখ ও অম্বেডকর জয়ন্তীর লম্বা ছুটি এসেছে প্রকৃতির কোলে সময় কাটানোর আদর্শ সুযোগ নিয়ে। কলকাতা থেকে মাত্র চার ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে এক অনবদ্য ডেস্টিনেশন—জয়পুর জঙ্গল, যা রাজস্থান নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত।
যেখানে চোখ যায়, শুধুই সবুজ। শাল, মহুয়া, সেগুন, বেহেড়া গাছের সারি যেন তৈরি করেছে এক জীবন্ত ক্যানভাস। মাঝে মাঝে দেখা মেলে হাতির দল, হরিণ, বুনো শুয়োর, আর গাছের ডালে ঝুলে থাকা মৌচাক।
পাখিপ্রেমীদের জন্য এটি এক আদর্শ স্থান—দুধরাজ, ফিঙে, ওপেনবিল স্টর্ক, স্যান্ড লার্কের মতো বিভিন্ন দেশি ও পরিযায়ী পাখির অভয়ারণ্য।

তপ্ত বৈশাখে সবুজের শীতল ছোঁয়া, কলকাতা থেকে ঘণ্টা চারেক গেলেই জয়পুর জঙ্গল

কী ভাবে পৌঁছবেন জয়পুরে?
সড়কপথে: কলকাতা থেকে জয়পুরের দূরত্ব প্রায় ১২৮ কিমি। ডানকুনি, আরামবাগ হয়ে গাড়িতে পৌঁছতে সময় লাগবে আনুমানিক ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা।
রেলপথে: বিষ্ণুপুর স্টেশন থেকে জয়পুরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিমি।
থাকার ব্যবস্থা কেমন? জয়পুর জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি মানসম্মত রিসর্ট রয়েছে, যেগুলির অনেকেই প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি। এছাড়া নিকটবর্তী বিষ্ণুপুরে রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল ও লজ।
দিন তিনেকের ছুটিতে বিষ্ণুপুরও ঘুরে আসুন: জয়পুর থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে রয়েছে ইতিহাস ও শিল্পের শহর বিষ্ণুপুর। এখানকার বিখ্যাত রাসমঞ্চ, মদনমোহন মন্দির, এবং অন্যান্য টেরাকোটা স্থাপত্য নিঃসন্দেহে আপনার মনে ছাপ ফেলবে।
এখানে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)-এর অধীনস্থ বহু ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির উজ্জ্বল নিদর্শন।
সতর্কতাও জরুরি
জয়পুর জঙ্গল হাতি চলাচলকারী এলাকা, তাই ঘুরে বেড়ানোর সময় স্থানীয়দের পরামর্শ মেনে চলুন
গরমে সাপ বা অন্যান্য সরীসৃপ বেরিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই বনপথে সাবধানে হাঁটুন
ছবি তোলার সময় উইয়ের ঢিবি বা মৌচাকের নিকটে না যাওয়াই ভাল








