নজরবন্দি ব্যুরো: ভারত ও পাকিস্তান প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলেও দু’দেশের সম্পর্কের তিক্ততা কারও অজানা নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে দুপক্ষের সংঘাত জারি রয়েছে। এই আবহে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে পাক প্রধানমন্ত্রীকে ধুয়ে দিলেন ভারতীয় কূটনীতিক। পাশাপাশি পাকিস্তানকে কাশ্মীর ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেয় ভারত। এমনকি পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলা অকথ্য নির্যাতনের ভয়াবহ ছবিও তুলে ধরা হয় বিশ্বমঞ্চে।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের পাতায় গুরুত্বপূর্ণ ২৩ সেপ্টেম্বর, আজকের দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী একনজরে
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার দ্বিতীয় কমিটির জন্য নিযুক্ত ভারতের প্রথম সচিব (ফার্স্ট সেক্রেটারি) পেটাল গেহলট পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেন। মূলত পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হকের বক্তব্য ছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে মূল ইস্যু হল কাশ্মীর। এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা জবাব দিতে পেটাল গেহলট বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার চালানোর জন্য এই ফোরামকে অপব্যবহার করছে পাকিস্তান। এই অপরাধ করা পাকিস্তানের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশ এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংগঠন ভালোভাবেই জানে যে পাকিস্তান মানবাধিকার রক্ষার ইস্যুতে ব্যর্থ। তাদের অপ্রীতিকর রেকর্ড থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরব হয় পাকিস্তান।”
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আরও বলেন, “আমরা বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই।” পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে পেটাল বলেন, “বারবার একই অপরাধ করা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।”
বিগত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার অভিযোগ এনেছে পাকিস্তান। পড়শি দেশকে পাল্টা জবাব দিতেও ছাড়েনি ভারত। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলা এবং ওই বছরেই আগস্টে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর পাক-ভারত সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটে। কয়েকমাস আগেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “ভারত নিজেদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে। তবে পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম। আমরা সন্ত্রাসবাদকে মেনে নিতে পারি না। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ কোনও ভিত্তি হতে পারে না।”
কাশ্মীর ছাড়ার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মোক্ষম জবাব ভারতের
