নজরবন্দি ব্যুরোঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ! প্রায়শই দাম্পত্য সম্পর্কের (Viral) মধ্যে দূরত্ব এবং ফাটল দেখা দেয়, তবে দম্পতিরা সেগুলি সমাধান করে পারস্পরিক সম্পর্কে এগিয়ে যান। কিন্তু যখন সম্পর্কের মধ্যে মিথ্যা এবং অবিশ্বাস আসে, তখন বিষয়গুলি সমাধান হয় না, বরং আরও জটিল হয়ে ওঠে। সম্প্রতি এক মহিলার সঙ্গে একই রকম ঘটনা ঘটেছে যখন তিনি জানতে পারলেন যে তার স্বামী তার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন এক বিরাট সত্যি।
আরও পড়ুনঃ শিউরে ওঠা ঘটনা! বাংলার ৫ পরিযায়ী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু দক্ষিণ কর্ণাটকে
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে (DNA Test Reveal truth of Adapted Child)বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া সাইট রেডডিটে একজন মহিলা তার এবং তার স্বামীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনার কথা শেয়ার করেন। মহিলাটি জানান তার বয়স মাত্র ৪১ বছর এবং সবসময় একটি বড় পরিবার তিনি চেয়েছিলেন।
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তাঁর ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে থাকা সত্ত্বেও তিনি চাইছিলেন সন্তান। কিন্তু শরীর সঙ্গে দিচ্ছিল না। তাই তিনি একটি শিশুকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময়, মহিলার স্বামী ৪৮ বছর বয়সী ডেভ, অন্য দেশে কাজ করছিলেন। পরে স্বামী ডেভ ফিরে আসার পরে মহিলা তার সঙ্গে এই ইচ্ছাটি ভাগ করে নেন। ডেভ এটি শুনে খুশি হয়েছিলেন এবং সহমত হন।
দত্তক নেওয়াতে ডেভ আন্তর্জাতিক দত্তক প্রক্রিয়া অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং মহিলাটিও তার পরামর্শ গ্রহণ করেন (Viral)। ডেভ যে দেশে কাজ করছিলেন সেই একই দেশ থেকে দুজনেই শিশুটিকে দত্তক নিয়েছিলেন (DNA Test Reveal truth of Adapted Child)। প্রসঙ্গত, দত্তক নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া, সমস্ত লেখা-পড়ার কাজ ডেভ করেন।
শিশুটি বড় হতে শুরু করলে সবাই বলতেন তাকে দেখতে আশ্চর্যজনকভাবে ওই দম্পতির বাকি সন্তানদের মতোই লাগে। মহিলাটিও এতে কিছুটা বিস্মিত হলেও ডেভ বিষয়টি নিয়ে সর্বদাই হাসতেন। একবার মহিলাটি ঘর পরিষ্কার করার সময় শিশুটির দত্তক নেওয়ার কাগজপত্র দেখতে পান। ইতিমধ্যেই তখন শিশুটির বয়স ৭ বছর। মহিলা কাগজপত্রে কিছু ভুল খুঁজে পান এবং তারপরে শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর রহস্য!
ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসে চরম সত্য। জানা যায় স্বামীর জৈবিক পুত্রই দম্পতির সেই দত্তক ছেলে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ওই মহিলার পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। এর কারণ ডেভ, অর্থাৎ মহিলার স্বামী, সেই সন্তানের আসল পিতা। কারণ দুজনের ডিএনএ মিলে গিয়েছে। পরে ডেভ স্বীকার করেন যে অন্য দেশের একজন মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল, কিন্তু সেই মহিলা সেই সন্তান নিতে চাননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ! বাবার DNA পরীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর রহস্য
তাই ডেভ তাঁকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একথা শুনে চমকে ওঠেন মহিলা। তিনি শিশুটিকে তার পুত্র হিসাবে দত্তক নেন (DNA Test Reveal truth of Adapted Child) কিন্তু ডেভের কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ দাবি করেন। তিনি রেডিটে এই বিষয়ে মানুষের মতামত জানতে চাইলে, সবাই তাকে সমর্থন করে এবং বলে যে এটি একটি বড় প্রতারণা এবং এর জন্য কোন ক্ষমাই যথেষ্ট নয়।