পর্যাপ্ত পরিদর্শক নেই, ধুঁকছে রাজ্যের শিক্ষাব্যাবস্থা!

নজরবন্দি ব্যুরো: পর্যাপ্ত পরিদর্শক নেই, ধুঁকছে রাজ্যের শিক্ষাব্যাবস্থা! প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ আছে রাজ্যের বিদ্যালয় কলেজের স্বাভাবিক পঠন পাঠন। কোরোনা র প্রকোপে লকডাউন এবং তার ফলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে দীর্ঘকালীন বন্ধ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র। এই দীর্ঘকালীন অচলবস্থা রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থাকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। তার সাথে উঠে আসছে সঠিক পরিদর্শনের অভাব। সঠিক পরিদর্শনের অভাব শিক্ষার পরিকাঠামো এবং গুণগত মানকে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে শিক্ষাবিদরা অনুমান করছেন।
আরও পড়ুনঃ মুখ পুড়ল মোদি সরকারের, কৃষি আইন স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট!
শিক্ষা দফতরের জেলা স্তরের আধিকারিক দের সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে স্কুল ইন্সপেক্টর এর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম থাকায়, এক এক জনকে একাধিক সার্কেল এর দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ২৩টি সার্কেলের মধ্যে ১১ টিতে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নেই। এর ফলে সমগ্র শিক্ষা অভিযান, বাংলার শিক্ষা পোর্টাল, মিড ডে মিল, অবসপ্রাপ্ত শিক্ষক দের পেনশনের কাজ সহ বহু সরকারি প্রকল্পের কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে না এবং ছাত্র ছাত্রীরা প্রকল্প গুলির সুযোগ সুবিধা থেকে কিছুটা হলেও বঞ্চিত হচ্ছে।
পর্যাপ্ত পরিদর্শক নেই, ধুঁকছে রাজ্যের শিক্ষাব্যাবস্থা! সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও পঠন পা চলছেই অনলাইন। সমস্ত সার্কেল এর সমস্ত কাজই চলছে। এ ছাড়া শিক্ষকদের সর্ভিসবুক, পি এফ সংক্রান্ত কাজ, শিক্ষকদের অনলাইন ট্রেনিং, ছাত্রছাত্রীদের হোমওয়ার্ক, আসাইনমেন্ট, প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলি স্কুল ইন্সপেক্টর দের তত্ত্বাবধানেই হচ্ছে। তাই পর্যাপ্ত সংখ্যক স্কুল ইন্সপেক্টর না থাকায় সার্কেল তথা বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৮ সালে রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন আয়োজিত স্কুল ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩রা মার্চ। কিন্তু এর পর দীর্ঘ দশ মাস কেটে গেলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি, যদিও তাদের বেশিরভাগ সফল পরীক্ষাথীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মেডিক্যাল এর রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দফতর চলে গিয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন বিদ্যালয় পরিদর্শন ও প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে ঠিক তেমনই বেকার যুবক যুবতীরা হতাশা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। সর্বোপরি, বিদ্যালয় পরিদর্শন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বহু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্প গুলি সঠিক ভাবে রুপাইত হচ্ছে না। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল গুলির অনেক জায়গাতেই মিড ডে মিল এর সামগ্রী বণ্টন এবং হোম এসাইনমেন্ট বিতরণ এর প্রক্রিয়া নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।