দুর্গাপুজোর সময় ঘরে দেবী দুর্গার কৃপা পেতে বাস্তুশাস্ত্রের কিছু নিয়ম মানা বিশেষ জরুরি। এই উৎসব শুধু ভক্তির নয়, এটি সংসারে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতেও সহায়ক। প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্র বলছে, পুজোর আগে ঘরদোর গুছিয়ে ফেলা ও সঠিক নিয়ম মেনে দেবীর পূজা সংসারে আনতে পারে ইতিবাচক শক্তি।
পুজোর আগে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরানো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো কাপড়, ভাঙা আসবাব বা যেসব জিনিস ব্যবহার হয় না, সেগুলি ফেলে দিলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়ে। পরিচ্ছন্নতা ও সাদামাটা পরিবেশ দেবীর কৃপা আহ্বান করে।

বাস্তু মতে, বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে তুলসী গাছ রাখা অত্যন্ত শুভ। এটি শুধু সংসারে শান্তি আনে না, শরীর-স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। তুলসীর উপস্থিতি ঘরে দেবীর শক্তি স্থায়ী করে বলে মনে করা হয়।
পুজোর মূল দরজা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন বা আম্রপল্লবের তোরণ তৈরি করাও শুভ। এতে গৃহস্থালির ওপর ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে। পাশাপাশি, ঠাকুরঘর সবসময় গুছিয়ে রাখা প্রয়োজন। ঠাকুরঘরের অগোছালো অবস্থা দেবীর পূজায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুজোর সময়ে শুধুমাত্র রুপো বা তামার পাত্র ব্যবহার করা শ্রেয়। এই ধাতু দেবীর পূজায় শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। অন্যদিকে, দুর্গাপুজোর সময়ে লোহা বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার অশুভ হিসেবে গণ্য হয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী মঙ্গলঘট রাখার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম রয়েছে। চন্দন কাঠের টেবিলে মঙ্গলঘট স্থাপন করলে তা সংসারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনে। আবার অখণ্ড প্রদীপ সবসময় বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে জ্বালানো উচিত। এতে সংসারে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয় এবং অশুভ শক্তি দূরে থাকে।
প্রত্যেক গৃহস্থের স্বপ্ন সংসারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখা। দুর্গাপুজোর সময়ে দেবী দুর্গার কৃপা আহ্বান করতে বাস্তুর এই সহজ টিপসগুলি মানা গেলে গৃহস্থালির পরিবেশ ইতিবাচক হয়ে ওঠে। ভক্তিভরে পূজা করলে দেবীর আশীর্বাদে সংসার হয়ে ওঠে সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ।








