ছাত্রনেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি-র মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে হিংসা ও ভাঙচুর। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দেব। যুদ্ধ ও অশান্তির বদলে শান্তির বার্তাই দিলেন তিনি।
দেবের কথায়, “ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, মানুষ যেন শান্তিতে থাকে। সে হিন্দু হোক, মুসলমান হোক কিংবা খ্রিস্টান—সবার জন্যই শান্তি চাই।” তিনি বলেন, গোটা বিশ্বেই এখন যুদ্ধের আবহ। বিপুল অর্থ অস্ত্রে খরচ হচ্ছে, অথচ সাধারণ মানুষের চাওয়া খুব সামান্য—দু’বেলার খাবার আর মাথার উপর একটা ছাদ।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি শিল্প-সংস্কৃতির জগতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। ওসমান হাদির মৃত্যুর পর নতুন করে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তাতে আক্রান্ত হয়েছে সংবাদমাধ্যমের দফতর থেকে শুরু করে দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট এবং উদীচী। এই খবর সামনে আসতেই দেব আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “মাঝে মাঝে খবর দেখে সত্যিই ভয় লাগে। মনে হয়, এখানেও যুদ্ধ লেগে যেতে পারে—ভারত-বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তান বা ভারত-চিন। কিন্তু এটা কখনওই কাম্য নয়।” তাঁর মতে, হিংসা বাড়লে ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার হয়ে উঠবে।
দেবের সংযোজন, মানুষের জন্য মানুষের সঙ্গে লড়াইয়ের কোনও মানে নেই। “পরিবারকে ভালো রাখা, শান্তিতে বাঁচা—এর জন্য কাউকে মারতে হয় না। যদি এখনই এই হিংসা থামানো না যায়, সামনে আরও কঠিন সময় আসতে পারে,” বলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থনা একটাই—“সিনেমা চলুক বা না চলুক, আমরা সবাই যেন ভালো থাকি।”


বাংলাদেশের এই অস্থিরতা নিয়ে এর আগেও সরব হয়েছেন এ পার বাংলার শিল্পীরা। অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক জানিয়েছিলেন, হিংসার ঊর্ধ্বে থাকা উচিত বিনোদন ও সংস্কৃতি। একই সুর শোনা গিয়েছে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী প্রমিতা মল্লিক-এর কথাতেও।
সব মিলিয়ে, সীমান্তের দুই পারে বাড়তে থাকা অশান্তির আবহে দেবসহ বহু শিল্পীর একটাই আবেদন—যুদ্ধ নয়, শান্তি; বিভাজন নয়, মানবতা।










