নজরবন্দি ব্যুরো: সভামঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন খাদিকুলে গিয়ে মমতা বলেন, “আমি আগেই আসার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এক রকম পরিস্থিতির চাপে পরেই আমি আসতে পারিনি। আমাকে একবার আসতেই হত। তাই আজ আমি পরিবারগুলোকে সাহায্য় করতে আজ এসেছি।”
আরও পড়ুন: দিদিকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না, দলবদলের জল্পনায় জল ঢাললেন Arjun Singh
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এগরার খাদিকুলে সভাস্থল নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে। সেখানে এসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এসেছেন নিহতদের পরিবার। পাশাপাশি রয়েছেন এডিজি সিআই এফ জ্ঞানবন্ত সিং, ডিআইজি মেদিনীপুর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিরেক্টর সিকিউরিটি, এসপি, ডিএম-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমি জানি যখন পরিবারের কেউ চলে যায়, তখন পুরো পরিবারকে ফেলে রেখে যায় দুর্দশায়। এখন অনেকেই এটাকে নিয়ে রাজনীতি করবে। কিন্তু আজ আমি রাজনীতি করতে আসেনি। সাহায্যের হাত বাড়িতে দিতে এসেছি। যারা মারা গিয়েছে সেই পরিবারগুলোকে আজকে আড়াই লক্ষ টাকা করে চেক দিচ্ছি। পরিবারের একজন করে হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি।”

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি। এপ্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “১২ দিনের মাথায় খাদিকুলে গেলেন। ১২ দিন সময় লাগল ওনার? নাকি উনি এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। আর ১২ দিন পর এসে ক্ষমা চাইছেন, তাহলেই সব মিটে যায়?” এদিকে, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “কিসের জন্য উনি ক্ষমা চাইলেন? ওনার লোকেরাই তো বোমা ফাটিয়ে মেরেছে! বোমা কারখানা হয়েছে বলে? নাকি উনি দেরিতে গিয়েছেন বলে? এরকম ক্ষমা উনি তো রোজই চান।”
উল্লেখ্য, শনিবার, ২৭ মে দুই মেদিনীপুরেই কর্মসূচী রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথমে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থলে গেছেন তিনি। আর তারপরেই তিনি সেখান থেকে চলে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি। আর সেখানে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। তবে শুক্রবার রাতেই ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি! এবার এই নিয়ে কি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের!