অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল জয়ের পর পাকিস্তান শিবিরে উচ্ছ্বাস চরমে। সিনিয়র দলে যা সম্ভব হয়নি, জুনিয়ররা সেটাই করে দেখিয়েছে—এমন বার্তাই ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানে। ফাইনালে ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে ট্রফি জয়ের পর দেশে ফিরতেই তরুণ ক্রিকেটারদের ঘিরে উৎসবের আবহ তৈরি হয় ইসলামাবাদে।
দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান দলের মেন্টর সরফরাজ আহমেদ সংবাদমাধ্যমে জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ১০ মিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩২ লক্ষ টাকার সমান।
তবে ট্রফি জয়ের আনন্দের মাঝেই বিতর্কের সুর। পাকিস্তান শিবির স্পষ্ট জানিয়েছে, ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের আচরণে তারা সন্তুষ্ট নয়। সরফরাজের অভিযোগ, মাঠে এবং মাঠের বাইরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে খেলোয়াড়সুলভ সৌজন্যের অভাব ছিল।
ফাইনালের পরে সরফরাজ বলেন, “ম্যাচ চলাকালীন ভারতীয় দলের আচরণ ভাল ছিল না। ক্রিকেটীয় মূল্যবোধের দিক থেকেও তা মানানসই নয়। আমরা জয়ের পর খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব বজায় রেখে উদ্যাপন করেছি। ক্রিকেটে পারস্পরিক সৌজন্য থাকা জরুরি, কিন্তু ভারতীয় দল তা দেখায়নি।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই দুই দেশের ক্রিকেটীয় সৌজন্য কার্যত শূন্যে নেমেছে। সেই প্রভাবই জুনিয়র পর্যায়েও দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।


ফাইনালের পরে ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটাররা পাকিস্তান দলের সঙ্গে করমর্দন করেননি। এমনকি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সেখানেও ভারতের খেলোয়াড়রা ওঠেননি বা তাঁর কাছ থেকে পুরস্কার নেননি।
এই ঘটনাগুলিই বিতর্কের কেন্দ্রে। একদিকে পাকিস্তানে জয় উদ্যাপনের জোয়ার, অন্যদিকে ভারতীয় দলের নীরব অবস্থান—সব মিলিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল মাঠের বাইরেও উত্তাপ ছড়িয়েছে।









