নজরবন্দি ব্যুরোঃ প্রচারে বেরিয়ে পায়ে চোট পেলেন মিমি চক্রবর্তী। রাজ্যে আজ থেকে শুরু ভোট পর্ব। আজ প্রথম দফার ভোট। প্রথম দফায় মোট ৩০টি আসনে ভোট হচ্ছে রাজ্যে। এখনও ২৬৪ টি আসনের নির্বাচন বাকি। যা আরও সাত দফায় সম্পন্ন হবে। একদিকে চলছে ভোট দান পর্ব, অপরদিকে জোড় কদমে ভোটের প্রচারে ব্যাস্ত শাসক-সহ অন্যান্য রাজনৈতীক দলগুলি। জেলায় জেলায় রোড-শো, জনসভা করছেন দলের নেতা মন্ত্রীরা। কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই পা নিয়েই একের পর এক রোড-শো ও সভা করে যাচ্ছেন দলনেত্রী।
আজ মমতার প্রতিছবি দেখা গেল তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মধ্যে। গতকাল ভোট প্রচারে বেরিয়ে পায়ে চোট পান মিমি। কিন্তু পায়ে ব্যথা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সেই অবস্থাতেই প্রচার চালিয়ে গেলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাত খুব গুরুতর নয়। মাত্র কয়েকটি নিয়ম মানলেই তার পায়ের ব্যথা কমে যাবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্ত এবং পুরশুড়ার প্রার্থী দিলীপ যাদবের সমর্থনে প্রবারে যান সাংসদ মিমি। বাঁশবেড়িয়া ফুটবল খেলার মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নেমে গাড়ি করে বিটিপিএস টাউনশিপে পৌঁছন তিনি। বাঁশবেড়িয়া মন্দির সংলগ্ন মাঠে সভা করেন মিমি চক্রবর্তী। তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্তের সমর্থনে মিমি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা লড়তে জানেন। যে দিদি আপনাদের জন্য কাজ করেন, তাঁর হাতকে শক্ত করতে হবে। ভুল করে কখনও পদ্মফুল তুলতে যাবেন না, তাহলে পাঁক থেকে আর উঠতে পারবেন না।”
প্রচারে বেরিয়ে পায়ে চোট পেলেন মিমি চক্রবর্তী। এরপরই পুরশুড়ার জন্য রওনা দেন তিনি। যে গাড়িতে করে মিমি যাচ্ছিলেন সেখানে মাইক এবং অন্যান্য কিছু সামগ্রী রাখা চিল। যা সাংসদের পায়ের উপর পড়ে যায়। তাতেই পায়ে চোট পান তিনি। তৎক্ষণাৎ পায়ে বরফ দেওয়া হয়। এবং সেই গাড়িতেই কিছুক্ষন বিশ্রাম করেন তিনি। তারপর পুরশুড়ার চিলাডিঙিতে দিলীপ যাদবের সমর্থনে একটি সভা করেন।