নজরন্দি ব্যুরোঃ গোটা রবিবার মেলেনি সাক্ষাৎ, ডাক আসার পরেই শনিবার রাতেই তড়িঘড়ি দিল্লি ছুটে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কথা ছিল রবিবার অর্থাৎ গতকাল বৈঠকে বসবেন দিলীপ-নাড্ডা। ঠিক কী কারণে আচমকা এই দিল্লি তলব সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানা না গেলেও জল্পনা ছিলই এক প্রকার।
আরও পড়ুনঃ ভোটে পরাজয়ের কারণ “বিজেমূল” স্লোগান নয়, দলের বিপরীত দিকে গিয়ে জানালেন সুশান্ত ঘোষ
দলীয় সূত্রের খবর রাজ্যের ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ৪২ কেন্দ্র ঘুরে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, আমনে-সামনে বসে কথা হবে তা নিয়েই। তার সঙ্গেই এই মুহুর্তে রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল থেকে থেকে কিছু নেতার গলায় উলটো সুর।
একদিকে বহু দিন ধরেই পুরানো দলের জন্য ছটফট করছেন রাজীব, অন্যদিকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ে পুরো উলটো সুর বাবুলের গলায়, জল্পনা তৈরি হয়েছে তাঁর তৃণমূল যোগ নিয়েও। থেকে থেকেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সৌমিত্র খাঁ। অভিযোগের ঝুড়ি হাজির করেছেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও।
আলোচনা হওয়ার কথা সেসব নিয়েও। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতেই ব্লু প্রিন্ট বানাবেন নাড্ডা-দিলীপ। তবে নাড্ডা ব্যাস্ত থাকায় গোটা রবিবার মেলেনি সাক্ষাৎ। রাজনীতির অলিন্দে জোর গুঞ্জন এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একই সঙ্গে ভোটের হারের পর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভিত শক্ত করতে হতে পারে সাংগঠনিক রদবদল। গতকাল বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও গোটা রবিবার মেলেনি সাক্ষাৎ। আজ হবে সেই বৈঠক।
গোটা রবিবার মেলেনি সাক্ষাৎ, ব্যস্ত নাড্ডার জন্য দিল্লিতে বসে আছেন দিলীপ ঘোষ।
যদিও দিলীপের দিল্লি গমন প্রসঙ্গে গতকাল তৃণমূলের প্রথম সারির মুখ কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, মানুষের স্বার্থে আলোচনার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন না গেরুয়া শিবিরের নেতা মন্ত্রীরা। যাচ্ছেন নিজেদের দলের অপর গোষ্ঠীর নেতাদের দেখাতে। এই প্রসঙ্গেই কুণাল বলেন এই মুহুর্তে বাংলার বিজেপি আদি, তৎকালীন আর পরিযায়ী তিন ভাগে বিভক্ত। এক গোষ্ঠীর নেতা দিল্লি থেকে ফিরতেই ব্যালেন্স রাখতে দিল্লি যাচ্ছেন অপর গোষ্ঠীর নেতা।