বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে অশান্তির ঘটনা ফের সামনে এল। শুক্রবার রাতে ফরিদপুরে জনপ্রিয় রক শিল্পী জেমস-এর নির্ধারিত কনসার্ট সহিংসতার জেরে মাঝপথেই বাতিল করতে বাধ্য হলেন আয়োজকরা। ইট ছোড়াছুড়ির ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন দর্শক ও পড়ুয়া।
কোথায় ও কীভাবে ঘটল ঘটনা
ঢাকা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে ফরিদপুর জেলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে একাধিক শিল্পীর পর সবশেষে জেমস ও তাঁর ব্যান্ডের মঞ্চে ওঠার কথা ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ, জেমসের পারফরম্যান্স শুরু হওয়ার সময় একদল যুবক জোর করে অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার চেষ্টা করে। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ইট ছোড়াছুড়ি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি
অভিযোগ, তখনই মঞ্চের দিকে ইট ছোড়া শুরু হয় এবং অনুষ্ঠান বন্ধের দাবি ওঠে। ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হন। যদিও গায়ক ও তাঁর ব্যান্ডের সদস্যরা অক্ষত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় অনুষ্ঠান চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
কনসার্ট বাতিলের ঘোষণা
রাত প্রায় ১০টার দিকে, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে কনসার্ট বাতিলের ঘোষণা করেন। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা ও দর্শকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাংস্কৃতিক পরিসর নিয়ে উদ্বেগ
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিসরের নিরাপত্তা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ সামনে এসেছে।
লেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী তসলিমা নাসরিন সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার সমালোচনা করে লেখেন, বাংলাদেশের প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক চর্চা ক্রমশ চাপের মুখে পড়ছে—যা উদ্বেগজনক।








