দুর্ঘটনার মুহূর্তে কি হয়েছিল, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালকের

নজরবন্দি ব্যুরো: শুক্রবার রাতে ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা গোটা দেশে সারা ফেলে দিয়েছে। রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট জানিয়েছে করমণ্ডলের গতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস, মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘাতের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। লাইনচ্যুত হয় ২১ টি কামরা। অন্যদিকে হামসফর এক্সপেসের একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়নি ট্রেন চালকদের। কিন্তু শুক্রবার রাত দুর্ঘটনার মুহূর্তে ঠিক কি হয়েছিল? নিজেই জানালেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক।

আরও পড়ুন: Coromandel Express-এ দুর্ঘটনায় বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা, ওড়িশা-কলকাতা বিনামূল্যে বাস পরিষেবা ঘোষণা

সূত্রে খবর, হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক জেএন মোহান্তি এবং সহকারী চালক এইচ বেহেরা দুজনেই আহত হয়েছেন। তাঁদের কটকের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক সিআর রথ, সহকারী চালক সুধীর কুমার দুজনে অক্ষত রয়েছেন। অন্যদিকে, মালগাড়ির চালক ও গার্ডেরও চোট লাগেনি। যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক সিআর রথ সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনার মুহূর্তে কি হয়েছিল, জানালেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক
দুর্ঘটনার মুহূর্তে কি হয়েছিল, জানালেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক

সিআর রথ বলেন, “আমরা ডাউন লাইনে ছিলাম। উল্টোদিকে মেন লাইন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস আসছিল। যশবন্তপুরের গতি ছিল ১১৬ কিমি/ঘণ্টা। দুটি ট্রেন এক অপরকে পার করে তখনও কিছু হয়নি। তারপরই হঠাৎ কিছু একটা হয়। শেষের তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।” তবে চালক সিআর রথ ইঞ্জিনের দিকে থাকায় পিছনের দিকে কি হয়েছে তা বলতে পারেননি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের খড়গপুর ডিভিশনের কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, সঠিক তদন্তের পরই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

দুর্ঘটনার মুহূর্তে কি হয়েছিল, জানালেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক
দুর্ঘটনার মুহূর্তে কি হয়েছিল, জানালেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক

জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুর্ঘটনার মুহূর্তে মালগাড়িটি লুপ লাইনে দাঁড়িয়েছিল। পাশের মেন আপ লাইন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস চেন্নাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনের গতি ছিল ১২৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মূলত করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভুল পয়েন্টে ঢুকে পড়েছিল। এরপরই সোজা ধাক্কা মারে লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে। অন্যদিকে, পাশের ডাউন লাইনে হাওড়ার দিকে আসছিল যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। অভিঘাত এড়াতে এমারজেন্সি ব্রেক কষেন যশবন্তপুরের চালক। হঠাৎ ব্রেকের কারণে ওই ট্রেনের তিনটি কামড়া ছিটকে যায়। দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯৫ এবং আহত প্রায় এক হাজার যাত্রী।

দুর্ঘটনার মুহূর্তে কি হয়েছিল, জানালেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক

দুর্ঘটনার মুহূর্তে কি হয়েছিল, জানালেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক
দুর্ঘটনার মুহূর্তে কি হয়েছিল, জানালেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক