নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্ম হয় শ্রীরাধার। তার জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনই পালন করা হয় রাধাষ্টমী হিসাবে। জন্মাষ্টমীর ঠিক ১৫ দিনের মাথায় পালন করা হয় রাধাষ্টমী । মানা হয় যারা জন্মাষ্টমী পালন করেন তাদের ব্রত রাধাষ্টমী পালন করার মাধ্যমেই সার্থকতা পায়।
আরও পড়ুনঃ রাঘব-পরিণীতির বিয়ে, তবে পরিকল্পনা গেল ভেস্তে! আমেরিকা থেকে আসতে পারছেন না প্রিয়ঙ্কা!
আজ রাধাষ্টমীর উপবাস। আজ রাধার সাথে সাথে কৃষ্ণের জন্যও পুজো করা হয়। তবে রাধা নাম, কৃষ্ণ নামের থেকে অবিচ্ছেদ্য হলেও। কেন এতটা বিরহ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল রাধাকে? আজ রাধাষ্টমীর শুভক্ষণে জেনে নিন সেই অজানা কাহিনী।
রাধারাণীর জন্ম হয়েছিল অনুরাধা নক্ষত্রে। এইদিন ভারতের উত্তরপ্রদেশে বারসানায় ঠিক দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি পৃথিবীর আলো দেখেন। রাজা বৃষভানু এবং তাঁর স্ত্রী কীর্তিদা পুকুরে একটি সোনার পদ্ম দেখতে পান। সেখান থেকেই তিনি রাধাকে উদ্ধার করেন। তবে সেই মুহূর্তে তিনি নিজের চোখ খোলেননি। তার সামনে কৃষ্ণ হাজির হওয়ার পরেই তিনি তার দুচোখ মেলেন।
আবার পুরাণ মতে, ভগবান বিষ্ণু পৃথিবীতে কৃষ্ণরুপে জন্মগ্রহন করেছিলেন। অন্যদিকে স্ত্রী লক্ষ্মী জন্মগ্রহন করেছিলেন রাধারানী রুপে। সেখানে রাধার সাথে আয়ান নামে এক ব্যক্তির বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল। এবং শ্রী কৃষ্ণ ছিলেন রাধার বন্ধু। এরপর তাদের দুজনের লীলা এবং বিচ্ছেদের গল্প নিশ্চয়ই কারোরই অজানা নয়।
রাধা নাম, কৃষ্ণ নামের থেকে অবিচ্ছেদ্য, তবে কেন সইতে হয়েছিল বিরহ যন্ত্রণা?
এছাড়াও আরও একটি কাহিনী রয়েছে রাধাকে নিয়ে। যেটি সম্পর্কে অনেকেই জানেননা। রাধা শ্রীকৃষ্ণের সাথে গোলোকে থাকতেন। একবার রাধা গোলাক থেকে বেড়িয়ে দেখতে পান কৃষ্ণ বীরজা নামে তার এক বন্ধুর সাথে ভ্রমন করছেন। এই ঘটনা দেখে রাধা ভীষণ রেগে যান। এবং বীরজাকে নানান ভাবে অপমানের সাথে কটু কথা বলেন। রাধার এরুপ আচরণে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে যান কৃষ্ণের আরেক বন্ধু সুদামা। সুদামার এরুপ আচরণে সুদামাকে রাধা অসুররুপে জন্ম দেওয়ার অভিশাপ দেন। তারপর সেই অসুর রুপেই শিবের কাছে নিহত হয়েছিলেন সুদামা। এরপর রাগে রাধাকে তিনি অভিশাপ দেন। যার কারনেই নাকি রাধাকে বিচ্ছেদ যন্ত্রণা পেতে হয়েছিল।