নজরবন্দি ব্যুরোঃ বুধবার প্রকাশিত কোম্পানির মাসিক প্রকাশের প্রতিবেদন অনুসারে, নিয়ম বিরুদ্ধ কাজের জন্য কেবল এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ১৬ লক্ষেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে চলার প্রসঙ্গে এমনটাই জানানো হয়েছে মেটা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ হাই কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক, অসুস্থ হয়েও দেশ ছাড়তে পারবেন না তিনি, জানালেন ইডি
ব্যবহারকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ১২২ টি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং অ্যাপটিতে ক্ষতিকারক কার্যকলাপ রোধ করতে ১৬.৬৬ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বলে জানাচ্ছে ফেসবুকের মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপটি। অ্যাকাউন্ট তখনই ব্যান করা হয় যখন এটি নিশ্চিত হয় যে এটি ব্যবহারকারীর আপত্তিজনক।

হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্রের দাবি, তাঁরা নেটমাধ্যমে ঘটে চলা বিভিন্ন ধরনের নিগ্রহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সবচেয়ে তৎপর। তাঁর আরও দাবি, হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরেই এই ধরনের দুর্বৃত্তি আটকাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, কৃত্রিম মেধা ও বিজ্ঞানীদের উপর বিনিয়োগ করে আসছেন।
২০২১ সালের আইটি আইন মেনে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপের নিজস্ব সুরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতেও কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার উল্লেখ রয়েছে এই রিপোর্টে।
এক মাসের মধ্যে WhatsApp Ban করেছে ১৬ লক্ষের বেশি অ্যাকাউন্ট

সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপের নির্দেশাবলী অমান্য করলে সেই সব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় হোয়াটসঅ্যাপ। তবে শুধু নিগ্রহ নয়, ভুল ও মিথ্যে খবর প্রচার করা, অসমর্থিত সূত্র থেকে আসা কোনও বার্তা বা ছবি একাধিক মানুষকে পাঠানোক জন্যেও ব্যান করা হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। বিশেষ করে যে ধরনের বার্তাগুলি অসংখ্যবার ফরোয়ার্ড করা হয়েছে, সেগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিথ্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।