নজরবন্দি ব্যুরো: ২০২১ সালের মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে একটিও পায়নি বাম কিংবা কংগ্রেস। সেও এক ইতিহাস। সেবার আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফকে সঙ্গী করে জোটের প্রাপ্তি মাত্র এক। ভাঙড় থেকে জয়ী আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু বাম বা কংগ্রেস ছিল সেই শূন্যতেই।
আরও পড়ুন: বাইরনই আসল মীরজাফর! দলবদলের ঘটনায় কটাক্ষ সুকান্তর
অবশেষে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমুলকে হারিয়ে সেখানে যেতে জোট । বিধায়ক হন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস । কিন্তু জেতার তিন মাসের মধ্যেই দলবদল করে তৃণমূলে চলেগেলেন বায়রন । সোমবার ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন বায়রন বিশ্বাস। আর এখানেই ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল বাম কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কারণ দলবদলের পর বায়রন জানান,

”ওখানে কংগ্রেস জেতেনি, তৃণমূলের কিছু ত্রুটির জন্য ভোট কমেছে। আর বায়রন তো নিজেই বলেছেন, তিনি তৃণমূলের ভোটও পেয়েছেন। তিনি তৃণমূল পরিবারের লোক ছিলেন, ফিরে এসেছেন।” অপর দিকে অধীর বাবু বলেছেন, ”বায়রন নন-পলিটিক্যাল, আমি ওকে পছন্দ করতাম। ও নিজেই এসে বলেছিল, এলাকার কাজ করতে চায়। আমি হাইকম্যান্ড থেকে অনুমতি নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে ওকে প্রার্থী করেছি”।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী কংগ্রেস বা বিশেষ করে অধীর বাবু মানুষ চিনতে ভুল করেছিলেন? তাই আগামী নির্বাচনে এক সাথে লড়তে গেলে বাম ও কং নেতাদের আরও ভালকরে ভাবতে হবে প্রার্থী বাছায়ের ক্ষেত্রে। বায়রনের দলবদল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেও ধাক্কা।
এনিয়ে সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, জনতার রায়কে অপমান করলেন বায়রন বিশ্বাস। তবে তৃণমূল বুঝিয়ে দিল, তারা অমিত শাহর পথেই। বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের নিজেদের দলে টেনে নেওয়া স্রেফ ক্ষমতা বজায় রাখার লক্ষ্যে।
বায়রনের দলবদলে ফের বিধানসভায় শূন্য বাম-কং, তাহলে জোটের ভবিষ্যৎ কী?
বায়রন বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও তাই হল। সব মিলিয়ে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোট হবার জন্য যতটুকু উৎসাহ পেয়েছিল বাম ও কং নেতারা। বায়রন কান্ডে তা যে অনেকটাই কমে গেল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।