নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে সুস্থতার হারে রেকর্ড; লক্ষাধিক সংক্রমণের মাঝে অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ২৫০০-৩০০০ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন রাজ্য জুড়ে। কিন্তু গত ২ দিনের সুস্থতার হার পরাস্ত্র করেছে সংক্রমণের গতিকে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিন ২৪ পরগণা, হাওড়া বা হুগলীর সাথে পাল্লা দিচ্ছে মালদা, দার্জিলিং বা দক্ষিন দিনাজপুরের মত জেলা গুলিও। সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগণার। পিছিয়ে নেই হাওড়া জেলাও।
আরও পড়ুনঃ ডিসেম্বরে টিকা মিলবে ভারতে। ২০ টি দেশ থেকে ভ্যাকসিনের অর্ডার পেল রাশিয়া।
সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও বাড়ছে সমান তালে এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সংখ্যা। গত কয়েকদিন ধরে গড়ে ৪০-৫০ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। অন্যদিকে সুস্থতার হারও বেড়েছে রাজ্যে। প্রতিদিন সুস্থ হয়ে উঠছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু সংক্রমণের গতি অব্যাহত থাকায় কমছে না চিকিৎসাধীন আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন সার্বিক ভাবে সংক্রমণের সংখ্যা ছারিয়ে গেল ১ লক্ষ।
রাজ্যে সুস্থতার হারে রেকর্ড; লক্ষাধিক সংক্রমণের মাঝে অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। আজকের বুলেটিনে রাজ্য সরকার জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে ২ হাজার ৯৩১ জন। আজকের ২ হাজার ৯৩১ জন কে নিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৯০। এই বিপুল আক্রান্তের মধ্যে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৫ হাজার ৮৪৬ জন। যা গতকালে থেকে ১৮৫ জন কমেছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১৪৯ জনের। মৃত ২ হাজার ১৪৯ জনের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছেন ৪৯ জন। উল্লেখ্য গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৬৭ জন। আজকের ৩ হাজার ৬৭ জন কে নিয়ে এখন পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৩ হাজার ৩৯৫ জন।
এদিনের বুলেটিনে রাজ্য সরকার জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে মোট ২৭ হাজার ১৫ টি। যা নিয়ে রাজ্যের মোট টেস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ ৫৯ হাজার ২১১ টি। রাজ্যে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষ পিছু টেস্ট হয়েছে ১২ হাজার ৮৮০ জনের। প্রতি ১০০ টি স্যাম্পেল টেস্ট পিছু রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮.৭৫ শতাংশ। যা বেড়েছে গতকালের থেকে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭২.৩৯ শতাংশ। গতকাল এবং পরশুর থেকে আজ এক ধাক্কায় বেড়েছে রাজ্যের সুস্থতার হার। গত পরশু সুস্থতার হার ছিল ৭০.২৪ শতাংশ। রাজ্যের করোনা আতঙ্কের মধ্যে স্বস্তির জায়গা এই সুস্থতার হার। দেখুন সার্বিক পরিসংখ্যান