নজরবন্দি ব্যুরোঃ এবার চাকরি না পেলে আত্মহত্যা করব! এভাবেই রাজ্য সরকার কে হুশিয়ারি দিলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল রাজ্যের একাধিক যায়গায় শিক্ষক দিবস পালন করেন হবু শিক্ষকরা। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজ্য জুড়ে একাধিক যায়গায় চলে প্রতিবাদ মিছিল। শিক্ষক দিবসে চাকরির দাবিতে পথে নেমে নিজেদের দাবির স্বপক্ষে লিফলেট এবং পথচারীদের মাস্ক বিতরন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুনঃ অর্থ সংকটের জেরে কর্মী নিয়োগে লাগাম কেন্দ্রের।
এবার চাকরি না পেলে আত্মহত্যা করব! রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরাও পথে নামেন। গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত করেন তাঁরা। সেখানে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ছবিতে মালা দিয়ে তাঁরপর শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। এই প্রতিবাদ মিছিল থেকেই তাঁরা আত্মহত্যার হুশিয়ারি দেন সরকার কে। মিছিল থেকে তাঁরা জানান, ৭ বছর ধরে পএক্ষা করছি। আর সম্ভব না ৷ এবার যদি আমাদের চাকরির ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হব৷
অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিকের গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইচ্ছামত টেটের নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়া, রেসিও না মানা প্রভৃতি অভিযোগে জেরবার আপার প্রাইমারি নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হচ্ছে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য্যের বেঞ্চে। চাকরিপ্রার্থী মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য একে একে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় যোগ্য প্রার্থীদের প্রতি বঞ্চনা করা হয়েছে সেই বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে ছিল মেরিট লিস্টের অসঙ্গতি। ইন্টারভিউতে পেনশিল দিয়ে নাম্বার দেওয়া। রেশিও না মেন্টেইন করা ইত্যাদি।
চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবীরা বিচারপতিকে একাধিক তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বলেন পাহাড় প্রমান দূর্নীতি হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে। তাই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া টি বাতিল করে, স্বচ্ছতার সাথে পুনরায় ভেরিফিকেশন এবং মেরিট লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতি কে জানানো হয় উচ্চ প্রাথমিকে এত দূর্নীতি হয়েছে যা একটি একটি করে নির্দিষ্ট করতে গেলে বহু সময় লাগবে। তাই বাতিল করা হোক পুর নিয়োগ প্রক্রিয়া।
বিচারপতি সব শুনে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ফের শুনানির দিন স্থির করেন। ৯ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সরকার পক্ষের কথা হাইকোর্ট কে জানাবেন। শুনানি শুরু হবে দুপুর ২ঃ৩০ নাগাত। এর পরেই হবে চূড়ান্ত ফয়সালা। রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে, পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে,এবং ফল প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। এরপর ২০১৯ সালে ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ নেওয়া হয় সেখানে দেখা যায় অনেক অপ্রশিক্ষনরত এবং কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা ডাক পেয়েছে। এরই ভিত্তিতে আমরা হাইকোর্টে কেস করেছিলাম। এরপর বেশ কয়েকজন কেস পিটিশনের ভেরিফিকেশন ডাক পায়।