নজরবন্দি ব্যুরোঃ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এনজেপি বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে এই দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। বাঁশ-লাঠি নিয়ে প্ল্যাটফর্মেই একে অপরের উপর চড়াও হয় দুই দল। এরপর পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই দলের মোট ৬ জন। সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে টেন্ডারের মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের টেন্ডার পান বিজেপি নেতা ধর্মরাজ রায়।
আরও পড়ুনঃ ফের বিস্ফোরক মন্তব্য সায়ন্তন বসুর। কি বললেন তিনি!
সেই মতো ৪০ জনকে নিয়োগও করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার তাঁরা কাজে যোগ দিতে গেলেই সমস্যার শুরু। এর আগে যারা কাজ করতেন তাঁদের কাছে বাধার মুখে পড়তে হয় নবনিযুক্তদের। তাঁদের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । প্রথমে তাঁদের বলা হয়, নতুন কাউকে কাজে যোগ দিতে হলে প্রথমে আইএনটিটিইউসির সঙ্গে কথা বলতে হবে। এই নিয়েই শুরু হয় বাগবিতণ্ডা । যা পরে দুপক্ষের হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এন জি পি স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকা। চলে আক্রমণ পালটা আক্রমণ।
ভাঙচুর করা হয় আইএনটিটিইউসি’র অফিসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আরপিএফ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার ও আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরূপরতন ঘোষ। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি আয়ত্তে এলেও এখনও থমথমে এলাকা। স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
এদিনের সংঘর্ষে আহত ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে শিলিগুড়ি হাসপাতালে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল । কিন্তু কেন এই নিয়োগ ঘিরে সংঘর্ষ ? বিজেপির দাবি, তাঁদের তরফে কর্মী নিয়োগ করায় কাটমানি পায়নি শাসকদল। যার জেরে এই ক্ষোভ। পাশাপাশি, পুরনো কর্মীদের নিয়োগ না করার পিছনে কারণও দেখিয়েছেন তাঁরা।
তাঁদের কথায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরনো কর্মীরা প্রয়োজনীয় নথি জমা না দেওয়ার কারণেই নতুন নিয়োগ। যদিও গোটা ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, অন্যান্যভাবে নিজেদের লোককে কাজ দিয়েছে বিজেপি। তিনি বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের হাত ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন বলেই অভিযোগ।