নজরবন্দি ব্যুরো: চলতি মরশুমে থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গু। দফায় দফায় বৃষ্টি, রাস্তায় জল জমা! ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি দিন দিন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। একদিনে যেমন, ডেঙ্গুতে মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে তেমনই, চিকিৎসার পরিবর্তে ডেঙ্গু রোগীকে শহরে রেফার করার ঘটনায় আরও বেশি করে দেরি হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের অবস্থা শোচনীয়!
আরও পড়ুন: নিজেদের কাজ করুন, অন্যদিকে দেখার প্রয়োজন নেই! উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে বার্তা রাজ্যপালের
প্রতিদিন রাজ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অনেকেরই। সব মিলিয়ে রাজ্যের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য ভবনকে। শুধু তাই নয় রাজ্যের সাত জেলাকে ইতিমধ্যেই হটস্পট ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য় দফতর। এবার পরিস্থিতি হাতের নাগাল থেকে না বেরিয়ে যাওয়ার আগেই হাল ধরতে চাইছে সরকার। তাই সপ্তাহের শুরুতেই নবান্নে বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিব-স্বাস্থ্যসচিব।

জানা যাচ্ছে, সোমবার দুই ২৪পরগনা, হাওড়া, হুগলির জেলাশাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। এদিকে, এখন রাজ্যের সাত জেলাকে ডেঙ্গু হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা গুলি হল উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, মালদহ। জানা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৬ হাজার।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জেলায় জেলায় একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়োগ করা হবে। যার ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কলকাতার ওপর থেকেও চাপ কিছুটা কমবে বলেও ভাবছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাছাড়াও ডেঙ্গু সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা এই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। অনলাইন বা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে বলেই জানা যাচ্ছে।