নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভারতবর্ষ যেরকম সুন্দর তেমনই ভারতের কোলে রয়েছে অনেক রহস্যময় ঘটনা এবং জায়গা। ভারতের কোলে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যার নাম হয়তো আপনারা জানেন না। জানলেও তাঁদের যে অজানা গোপন রহস্য রয়েছে তা হয়তো জানলে অবাক ও বিস্মিত হবেন। আজ রইল এক নজরে তাঁদের কাহিনী।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহান্তের আড্ডায় সঙ্গে থাকুক চিংড়ির পপকর্ণ, রইল রেসিপি
বৃহদীশ্বর মন্দির (Brihadeeswara Temple)-
ভারতের এই মন্দিরের নামটি শুনেছেন? বিজয়নগর শৈলির কারুকাজ করা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের এই বিশাল আকৃতির মন্দিরে। বিশাল এই মন্দিরের সৌন্দর্য যেমন আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। ঠিক তেমন ভাবেই এই মন্দিরের ভেতরে অজানা রহস্য আপনাকে অবাক করবে। এই মন্দিরে প্রায় ৭০টি স্তম্ভ রয়েছে। শুধু তাই নয় সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল একটি স্তম্ভ পাশের স্তম্ভগুলির ভূমি স্পর্শ করে না। এই মন্দির থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি নন্দীর মূর্তি রয়েছে। পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে সেই মূর্তিটি। এই মন্দিরে রয়েছে একটি বিশাল পায়ের ছাপ যা দিয়ে অনবরত জল প্রবাহিত হতে থাকে। সেখানে সবাই বলে সেটা নাকি আসল হনুমান জির পায়ের ছাপ।
পদ্মনাভস্বামী মন্দির (Padmanabhaswamy Temple) –
বিশ্বে যতগুলি ধনী মন্দির রয়েছে তাঁদের মধ্যে এই মন্দিরটি অন্যতম। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দির এটি। এই মন্দিরের মধ্যে এর ছ’টি রহস্যময় ভল্ট রয়েছে। ২০১১ সালে ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয় আরও পাঁচটি ভল্ট খোলার। এখানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোনা, রত্ন, হিরে মানিক্য থেকে শুরু করে বহু প্রাচীন মূর্তি। কিন্তু রহস্যজনক ঘটনাটি হল এই ভল্ট গুলির মধ্য থেকে এখনও পর্যন্ত ছয় নম্বর ভল্টটি খোলা সম্ভব হয়নি। যা ভীষণই রহস্যময়। সেই ছয় নম্বর ভল্টের দরজায় রয়েছে সাপের প্রতিকৃতি। এই মন্দিরটি সম্পর্কে রটনা রয়েছে এই পৃথিবীতে যার মনের শক্তি সবচেয়ে বেশি এমন মানুষই নাকি একমাত্র সেই দরজা খুলতে পারবে। তাছাড়া আর কারোর তা খোলার ক্ষমতা নেই।
সবচেয়ে রহস্যময় তিন মন্দির, রইল তাঁদের বিবরন
কৈলাস মন্দির (Kailasa Temple) –
মহারাষ্ট্রের ইলোরা গুহায় অবস্থিত এই বহু প্রাচীন মন্দিরটি। তথ্য অনুযায়ী নাকি শুধুমাত্র একটি মাত্র পাথর খোদাই করে এই বিশাল আকারের এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরটি তৈরি করতে ১৮ বছর লেগেছিল প্রায়। এর আয়তন তাজমহলের আয়তনের কাছাকাছি। কৈলাশ মন্দির ৩৪টি বৌদ্ধ, জৈন এবং হিন্দু গুহা মন্দির এবং মঠগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়। মন্দিরের বেশিরভাগ খননের কৃতিত্ব সাধারণত অষ্টম শতাব্দীর রাষ্ট্রকূট রাজা প্রথম কৃষ্ণকে দেওয়া হয়েছিল। তবে এই এখনও নানাবিধ রহস্য এই মন্দির সম্পর্কে গোপন রয়েছে।