নজরবন্দি ব্যুরোঃ অতিমারীতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবনতা কমেছে । এই সময় অর্থনীতির অবস্থা সংকটজনক। তাই কমছে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবনতা, সাহস পাচ্ছেন না উদ্যোগপতিরা।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের ফুড কারখানাতে বিধ্বংসী আগুন! অগ্নিদগ্ধ এখনও পর্যন্ত ৫২ জন
রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুজায়ি, অতিমারীর আগে যা লোন নেওয়া হত, এখন সেই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ কমেছে। এখন প্রায় ৫-৬ শতাংশ লোন নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। দেশের সব থেকে বড় ঋণদাতা “স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া” জানায় এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া আর্থিক মাসে তাঁদের লক্ষ্য ছিলো ঋণ নেওয়ার সংখ্যা বাড়বে প্রায় ১০ শতাংশ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ব্যাঙ্ক।
অতিমারীতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবনতা কমেছে । রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাসিক বুলেটিন বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য ক্ষতি হতে পারে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা।
এই ঋণ নেওয়ার হার কমেছে কমেছে তার মুল কারণ হলো দেশের অর্থনীতির হার বিকশিত না হওয়া। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ বছরের অর্থনীতি ৯.৫ শতাংশ বিকশিত হবে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বলছে, বাজারের চাহিদা কমে যাওয়ার জন্য কর্পোরেট সংস্থা গুলি বিনিয়োগ করছে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাসিক বুলেটিন বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য ক্ষতি হতে পারে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা।
অতিমারীতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবনতা কমেছে ।কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলছে, করোনা পরবর্তী সময়ে জিডিপি বিকাশের জন্য বিপুল অর্থ বিনিয়োগ প্রয়োজন। তারা জানায়, সাধারনত কোনো সংকটকালে বাজারে বিভিন্ন পন্যের চাহিদা বাড়লে তবেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। অর্থ বিনিয়োগ করা হলে অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পরিস্থিতি তৈরী হয়। এর ফলে দেশে কর্ম সংস্থানের পরিস্থিতি আসে। তাই পরোক্ষ ভাবে অর্থ বিনিয়োগ বাজার চাহিদার সৃষ্টি করে।