নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২০২১ সালের টেট ওয়ান এবং টেট টু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন চাকরী প্রার্থীরা। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও হয়নি নিয়োগ। শনিবার দ্রুত নিয়োগের দাবীতে ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান হবু শিক্ষকরা। গত মাসের বিক্ষোভের পর ফের আরও এক সফায় সরব হয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ বড়বাজারে ধস, তীব্র যানজট
তাঁদের বক্তব্য, আমরা যারা ২০২১ সালে টেট ওয়ান এবং টেট টু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, দ্রুত তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করুক সরকার। তাই মন্ত্রী রতন লাল নাথের বাড়ি ঘেরাও করেছেন হবু শিক্ষকরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
যদিও পশ্চিমবঙ্গে টেট দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সম্প্রতি ২০১৪ সালের টেট নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাই সিবিআই তদন্তের দাবী জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা মানস ঘোষ। একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ২০১৪ সালের টেট প্রঈক্ষার প্রশ্ন পত্র ভূল ছিল। পরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভুল প্রশ্নের উত্তরে পূর্ণ নম্বর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানি শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে। ৬ বছর পর কেন মামলা দায়ের করা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় ২০১৪ সালে পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ফলপ্রকাশ হয়েছিল। অথচ চলতি মে মাসে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যিনি মামলা করেছেন তিনি চাকরীপ্রার্থী নন, শিক্ষক নন। তাঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এই মামলার পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে?
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও হয়নি নিয়োগ, চাকরী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ত্রিপুরাতেও

সাত দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে দিতে হবে। এই জনস্বার্থ মামলায় সামান্য ত্রুটি রয়েছে। মামলাকারীকেও তা সংশোধন করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।