নজরবন্দি ব্যুরোঃ গুজরাতের পর বাংলাতেও লাগু হবে সিএএ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই হাওয়া তুলেই বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি। কারণ, রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখে সিএএ লাগু করা জরুরী বলেই মনে করছেন রাজ্য নেতৃত্ব। তাই ঠাকুরনগরেই মতুয়া মহাসমাজের বিরাট সমাবেশ -এর আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে থাকছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
আরও পড়ুনঃ Nora Fatehi: কাতারে নতুন চমক, বিশ্বকাপের মঞ্চে বলি সুন্দরী নোরা ফাতেহি
১৯ এর লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিরাট ফ্যাক্টর মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট। বিজেপির ২ থেকে ১৮ অবধি আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা নিয়েছিল মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট। পরবর্তীতে ক্ষমতায় মোদি সরকার এলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। যা নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার সেই মতুয়া ভোটের দিকে নজর দিয়েই ময়দানে নামছে বিজেপি।
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের আগে থেকেই দাবি করেছিলেন, ২০২৪ এর আগে সিএএ কার্যকর হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সিএএর বিষয়টিকে তুলে ধরছেন তাতে স্পষ্ট হচ্ছে রাজ্য সরকার উদ্বাস্তু, মতুয়া, নমোশূদ্র এবং রাজবংশীদের সঙ্গে বঞ্চনা করছেন। শুধুমাত্র রাজনীতি করা হচ্ছে। ওনার দ্বিচারিতাকে আমরা ভেঙে দেবে।
আগামী ২৬ নভেম্বর ঠাকুরনগরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেই বৈঠক থেকেই বিশেষ বার্তা দিতে চলেছে বিজেপি। তবে সেই দিনের সমাবেশে আমন্ত্রিত থাকবেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির তরফে কী বার্তা দেওয়া হবে? সম্প্রতি গুজরাতের নির্বাচনের আগে তিনি রাজ্যের মানুষকে নাগরিকত্ব দিয়েছে সেই রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকার। এখানেও সেই বার্তা মিলতে পারে?
মতুয়া মহাসমাজের বিরাট সমাবেশ, বিজেপির বার্তা নজরে
যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, এই সমাবেশ মতুয়াদের তরফে আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আগত সংখ্যালঘুদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নাগরিকত্ব। কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা ও রাজ্যসভায় এটি পাশ করিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এটির প্রয়োগ ভীষণভাবে দরকার কারণ, প্রচুর উদ্বাস্তু এখানে এসেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর সরাসরি বিরোধিতা করছে। সিএএ-র দাবি এখানকার সাধারণ মানুষের। মতুয়াদের ব্যানারে এই অনুষ্ঠান হচ্ছে।