নজরবন্দি ব্যুরোঃ সালটা ২০১১। জানুয়ারি।৭। নেতাইয়ের সিপিএম নেতা রথীন দন্ডপাতের বাড়ি থেকে চলে মুহুর্মুহু গুলি। তাতে প্রান দেন নেতাইয়ের ৯ জন গ্রামবাসী। তার পর থেকেই প্রতিবার ৭ তারিখে নেতাইয়ে পালিত হয় শহিদ দিবস। নন্দীগ্রামেও পালিত হয় একই দিনে। আর তৃণমূলে থাকালীন প্রতিবারই নেতাই যেতেন বর্তমান বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির ব্যানারে পালিত হত কর্মসূচী। অন্যথা হয়নি এবারও।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে শুরু গুরুং ম্যাজিক, তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামলেন বিমল
দল ছাড়লেও ৭ জানুয়ারি সকালে সুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে যান নেতাইয়ে। বাংলায় বাম অধ্যায়ের কফিনে শেষ পেরেক্ টা ছিল নেতাইয়ের গন হত্যা। তার পর থেকে বাংলায় মোড় ঘরে। শাসনের দলবদল ঘটে। তখন থেকেই প্রতিবার এদিন নেতাইয়ে যেতেন তৎকালীন তৃনমুল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে গ্লপ এবার অন্য। এখন তিনি বিজেপির নেতা।
তাই শুভেন্দুর এহেন নেতাই যাওয়া অনেকে মেনে নিতে পারেননি ঠিক ভাবে। লালগড়ে পালটা কর্মসুচী নিয়ে এদিনি যাচ্ছেন মদন মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দুর নেতাই যাওয়া নিয়েও খহভ প্রকাশ করেছনে অনেকে। নেতাই যাওয়ার পথে শুভেন্দুকে আটকান হতে পারে তা নিয়ে আগেই তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গয়েন্দা বাহিনি। সুরক্ষার বিষয় আরও কড়া করা হহয়েছিল।
সকল সতর্কতা নিয়েই মধ্যরাতে নন্দীগ্রাম ও ভোরে নেতাই পৌঁছে যান বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নেতাইয়ের মঞ্চে গিয়ে বরাবরের মত তিনি বলেছেন, নেতায়ের সাথে তাঁর আত্মার যোগ, কেউ চেস্টা করলেও তা ছেঁড়া যাবেনা।তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে যথাসম্ভব চেস্টা করেছেন মানুষের পাশে থাকার বলেও যানান তিনি।
এতদিন যে দলে ছিলেন, আজ তা থেকেই দলত্যাগের পর বলছেন তৃনমুল সরকার গরীবদের কিছু দেয়নি। কিছু দিতে পারেননি ওই দলে থাকা কালীন। তাই এখন চেস্টা করছেন কাজ করার। তাঁকে আটকানর চেস্টা করেও কোনো লাভ নেই ব্বলে জানাচ্ছেন তিনি।