বাংলার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার শুভেন্দুর
suvendu adikari praer to amit shah cpf deployment bengal in panchayet vote

নজরবন্দি ব্যুরো: গত বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পরদিনই আজ অর্থাৎ শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার শুভেন্দুর।

আরও পড়ুন:Rajib Sinha: পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে? কী বললেন নতুন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে প্রয়োজন, সে দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোট ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাই কোর্টে মামলাও করেছেন। কিন্তু এই পর্যন্ত থেমে না থেকে শুক্রবার সাতসকালে সোজা দিল্লিতে উড়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিল্লির নর্থ ব্লকে গিয়ে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে।

Suvendu Adhikari: বাংলার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার শুভেন্দুর

জানা যাচ্ছে, শাহর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক হয় শুভেন্দুর। বৈঠক শেষে শুভেন্দু শাহর সঙ্গে আলোচনায় কি উঠে এসেছে তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলেনণী। তবে সূত্র মারফৎ খবর পাওয়া যাচ্ছে, অমিত শাহকে মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

Suvendu Adhikari: বাংলার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার শুভেন্দুর

তিরিশ মিনিটের বৈঠকে অমিত শাহকে শুভেন্দু রাজ্যের সংগঠনের হাল হকিকত জানান বলে জানা গিয়েছে। দল কোথায় কতটা লড়াই করার মতো জায়গায় রয়েছে এই বিষয়েও কথা হয়েছে। বাহিনী ছাড়া ভোট হলে কীভাবে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে, সেটাও শাহকে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

বাংলার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার শুভেন্দুর

বাংলার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার শুভেন্দুর
বাংলার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার শুভেন্দুর

বৃহস্পতিবার, নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণা করতেই রাজ্য বিজেপির তরফে জেলাস্তরে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে শাসকদল যদি হুমকিও দেয় তাহলেও যত বেশি সম্ভব আসনে প্রার্থী দিতেই হবে। কিন্তু কোনওভাবেই  সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয়, সেটা ভালই জানে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। জানা যাচ্ছে, যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে না, সেখানে তৃণমূলকে হারাতে অন্য দলের প্রার্থী বা নির্দল প্রার্থীর পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। এভাবে কার্যত নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা একপ্রকার মেনেই নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। এই দুর্বল সংগঠন নিয়ে লড়াই করতে হলে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর আর্শীবাদ জরুরী তা পরিস্কার ।