নজরবন্দি ব্যুরোঃ গতকাল শহিদ মিনারে তৃণমূলের ছাত্র যুবদের তরফে মিছিল ডাকা হলেও সেখানে একাধিক শর্তাবলী রাখা হয়েছে আদালতের তরফে। কোনরকম উস্কানিমূলক মন্তব্য যাতে না হয়, শান্তিশৃঙ্খলার বিষয়েও যাতে সুনিশ্চিত করা হয়, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। এবার আদালতের নির্দেশের পরেই গর্জে উঠলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি কর্মচারীদের গায়ে হাত পড়লে বাংলা অচল হবে। হুঙ্কার শুভেন্দুর।
আরও পড়ুনঃ ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! শিয়ালদহে বি আর সিং হাসপাতালে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন
এদিন কলকাতায় সভা ছিল বিজেপির। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকে শুভেন্দুর হুঙ্কার, সরকারি কর্মচারীদের গায়ে হাত পড়লে আগামীকাল সন্ধের পর থেকেই বাংলা অচল হবে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ২ মে-র পর থেকে এই সরকার খেলা হবে ডিজে বাজিয়ে ১ লক্ষ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছে। ১০ হাজারের বেশি বিজেপি কর্মীকে মেরেছে। মানস সাহা-সহ ৫৭ জন বিজেপি প্রার্থীকে খুন করেছে। সেই গুন্ডারা কাল শহিদ মিনারে আসবে।

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বাড়ির সামনে গত দুবছর ধরে ডিজে বাজিয়ে আমার ৮৫ বছরের বাবা ও ৭৫ বছরের মা-কে প্রতি দিন উত্যক্ত করেছে। এই গুন্ডারা কাল আসবে। কিন্তু কর্মচারীদের গায়ে হাত দিলে কাল সন্ধের পর থেকেই বাংলা অচল হবে।
উল্লেখ্য, শহিদ মিনারে ৬০ দিন ধরে অবস্থান জারি রেখেছে সরকারি কর্মচারিরা। আগামীকাল সেখানেই তৃণমূলের সভা রয়েছে। বুধবার সভার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি সভা এলাকার প্রবেশদ্বার এবং বাহিরদ্বার-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। সর্বদা চালাতে হবে ভিডিওগ্রাফি। সভায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থান, সেই এলাকায় দ্বিস্তরীয় ব্যারিকেড থাকবে। বাঁশের পাশাপাশি টিন দিয়ে ব্যারিকেড করতে হবে। আন্দোলনকারীদের যাতে কেউ বিরক্ত না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারি কর্মচারীদের গায়ে হাত পড়লে বাংলা অচল হবে, সাফ বার্তা শুভেন্দুর

একইসঙ্গে আদালতের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অভিষেকের ওই সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা যাবে না। এমনকি তৃণমূলের ছাত্র যুবর তরফে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সাফ নির্দেশ আদালতের। শান্তিপূর্ণ ভাবে গোটা কর্মসূচি পালন করতে হবে। সব পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। সভা হয়ে গেলে ব্যারিকেড খুলে ফেলতে হবে। সভাস্থল পরিষ্কার করে দিতে হবে।