নজরবন্দি ব্যুরো: মোদী বিরোধিতায় ফের কাছাকাছি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠক করেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, গোয়ার নির্বাচন পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো এবং আপ সুপ্রিমোর সম্পর্কের দূরত্ব মিটতে চলেছে। তাছাড়াও আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোট মজবুত করার লক্ষ্যেই এই সাক্ষাৎ! সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের এই বৈঠকের ঘিরে ঘুরছে শুরু হয়েছিল নানান জল্পনা।
আরও পড়ুন: Egra Blast: বিস্ফোরণে স্বজনহারাদের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা, এগরায় তৈরী হচ্ছে হ্যালিপ্যাড
তবে এই বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীদল। এবার জল্পনার মাঝেই বৈঠক নিয়ে দুই মুখ্যমন্ত্রীকেই আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, “মমতা-কেজরিওয়াল, দুই জনেই দুর্নীতিবাজ! এই বৈঠক দুর্নীতিবাজদের এক করার বৈঠক! ওনারা ভাবছেন বৈঠক করেই প্রধানমন্ত্রীকে টক্কর দিতে পারবে! সেটা কখনই হবে না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমি ৩৫টি আসন দেব।”

এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “এক মুখ্যমন্ত্রীর সরকারের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ অনেকেই অনেক মন্ত্রীকে দুর্নীতির দায়ে জেলে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি অফিসকে পার্টি অফিসে পরিণত করেছেন। আর অন্যদিকে, কেজরিওয়ালেরও অনেক মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। এই দুই নেতাই দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে জোট করার জন্যই এই বৈঠক।”
অন্যদিকে, মমতা-কেজরিওয়াল বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপির বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু বলেন, “নতুন মুরগির খোঁজ চলছে! আর এই নতুন মুরগির খোঁজ করতেই এই বৈঠক। গতবারও এক ঘটনা ঘটেছিল। এই বারেও তাই হচ্ছে। এরা বিজেপিকে ভয় পায়। মোদীজীর সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা শুরু করেছে। গতবার মমতা লাফালাফি করে সবাইকে মাছ ভাত খাইয়েছিলেন। আর তারপর তো ওনার ১২টা সিট কমে গেছিল। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। উনি জেনে গিয়েছে মোদীর সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে! তাই উনি এগাচ্ছেন না। আর অদিকে ওনাকে রাজি করাতে একেক সময়ে একেক জন কলকাতায় আসছে।”