দল বদল নয়, দিন বদলের লড়াই। ব্রিগেডের আগে জনগণকে বার্তা দিলেন সূর্যকান্ত।
দল বদল নয়, দিন বদলের লড়াই। ব্রিগেডের আগে জনগণকে বার্তা দিলেন সূর্যকান্ত।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ৩৪ বছরের ক্ষমতা হারিয়ে ১১ বছরের শূন্যতা। তার মাঝে গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গেছে অনেক জল। ২০১৬ সালের অলিখিত জোটে কমবেশি বিরোধী তকমা ধরে রাখতে পারলেও ২০১৯ সালের মোদি ঝড়ে কার্যত ধুয়ে মুছে গেছে এরাজ্যের রেড ফোর্স। কিন্তু এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক। আরসেই ডাক বামেরা দিতে চলেছে তাদের অতিপরিচিত ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে। আর আগামিকাল ব্রিগেড সমাবেশের আগেই যেন ২১ নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বললেন, দল বদল নয়, দিন বদলের লড়াই।

আরও পড়ুনঃ বিগ্রেড সভার ক্যাম্প তৈরিতে বাধা রেলের, বামেদের অভিযোগ বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বামপক্ষের কাছে ব্রিগেড হল মহা মিলনের সমাবেশ। নিয়ম করে প্রতিবার কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষের সমাগমে ব্রিগেডে ধুলো মিশ্রিত লাল ঝড়ের পূর্বাভাস দেখা যায়। ২০১৯ সালেও তাই হয়েছিল। কিন্তু ভোট প্রতিফলিত হয়নি ইভিএম এ। হাতে গোনা আসন ছাড়া প্রায় সব আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বাম প্রার্থীদের। কিন্তু এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক। এক ট্যুইটে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র লিখেছেন, এই লড়াই দল বদলের নয়। লড়াই দিন বদলের। তাঁর কথায়, “পরশু বেলা একটায় কাঁটায় কাঁটায় জনসভা। তার আগে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি। এবার ব্রিগেড সমাবেশ না থাকতে পারলে সারা জীবন অনুশোচনা থেকে যাবে।”

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে বাংলায় চলছে চূড়ান্ত দলবদলের খেলা। শাসক দলের একাধিকনেতা মন্ত্রী গেছেন বিজেপিতে, আবার বিজেপি থেকে এউ কেউ এসেছেন তৃণমূলে। অন্যদিকে আর ঘরে ফিরেছেন হাজার হাজার বাম সমর্থক। নজিরবিহীন ভাবে বামেদের সাদা আর কালো মাথা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে ‘দিন বদলের লক্ষ্যে’। পাশপাশি জোট ধর্ম পালন করতে এবার অপরিসীম আত্মত্যাগ করেছে বামফ্রন্ট।

মুলত বামেদের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়েই সুচিত হয়েছে বাম কংগ্রেস ফ্রন্টের মহা জোট। আর মহাজোটের পর ভোটের লক্ষ্যে কাল বামেদের প্রথম ব্রিগেড। কংগ্রেস-আইএসএফ-আরজেডিকে বিভিন্ন আসন ছাড়তে গিয়ে নেমেছে সিপিআইএম সহ বাম শরিকদের আসন সংখ্যা। সূত্রের খবর, আব্বাসের দলকে ছাড়তে গিয়ে CPI-এর আসন সংখ্যা ১৪ থেকে ১০-এ নেমে এসেছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের আসন ৩৪ থেকে নেমেছে ১৮-তে। RSP-র আসন নেমেছে ২২ থেকে ১৬-তে।

নন্দীগ্রামের পর ISF-কে ভাঙড় এবং মেটিয়াবুরুজ আসন ছেড়ে দিয়েছে বামেরা, জোটের স্বার্থে তৃনমূল কে ঠেকাতেও আব্বাসেই ভরসা রাখছে তাঁরা। সূত্রের খবর ভাঙড় আসনে জোটের জয় পাওয়ার যাবতীয় অঙ্ক সাজানোর কাজও নাকি শেষ! সূত্রের দাবি, ভাঙড়ে যে ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। আব্বাস সেই ভোট লুঠ রুখবেন! ভাঙড় আসনে প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে আব্বাসের ভাই তথা সংগঠনের চেয়ারম্যান নৌসাদ সিদ্দিকির নাম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে সংখ্যালঘুরাই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেন।