নজরবান্দি ব্যুরো: বর্তমান পরিস্থতিতে ১০০ এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মহিলাই পিসিওডির সমস্যায় ভুগছেন। ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যায় অনেকেরই সময় মতো পিরিয়ড হয় না। যেখানে কারও কারও প্রতিমাসে হয় না, আবার কারও মাসে দুই বার পিরিয়ড হয়। আর একেই অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলে। এই সমস্যায় আক্রান্তদের প্রতিদিন শারীরিক ক্লান্তি থাকেই। তাছাড়াও ঋতুস্রাব হলে অসহ্য তলপেটে যন্ত্রণা, পা, কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: Fish recipe: ঝাল-ঝোল ভুলে, দুপুরের মেনুতে পরিবেশন করুন অন্যস্বাদের কাতলা
তবে বারংবার ডাক্তার দেখিয়েও কোনও লাভ হয় না। ওষুধ খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলেও সেই একই সমস্যা ঘুরে ফিরে চলে আসে। তাছাড়াও এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক কিছুই চেষ্টা করে থাকেন। কখনও জিম, কখন ডায়েট। আবার কখনও যোগব্যামের মধ্যে দিয়ে সমস্যার সমাধান খোঁজেন। কিন্তু তাতে খুব একটা সুফল মেলে না। তবে এবার যদি আপনি এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে চান! এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে আপনার হেঁশেলেই। জেনে নিন…

কিন্তু আসল সমস্যা হল, পিসিওএস কোনও দিন সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয় না। তবে আপনি উপসর্গগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করলেই উপসর্গগুলো মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে করা যাবে। ১মত, ওটস, ডালিয়ার মতো গোটা শস্য ডায়েটে রাখুন। তার সঙ্গে তাজা শাকসবজি ও ফল খান। কারণ, পিসিওএস হলে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে, তাই এই ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী।
২য়ত, আপনাকে কফি খাওয়া কমাতে হবে। কফির মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে। এটি ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ৩য়ত, পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগলে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি ভীষণ জরুরি। তাই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেবেন না কখনই। এছাড়াও ঋতুস্রাবের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে দারুচিনি। তাই আপনি যদি দারুচিনির জল প্রতিদিন পান করেন তাহলে আপনার ২৮ দিনের ব্যবধানে সময়মতো পিরিয়ড হবে।