নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২ হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানিয়েছে আরবিআই। অবিলম্বে ২ হাজার টাকার নোট ব্যবহার বন্ধ করতে ব্যাঙ্কগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। ২ হাজার টাকার নোট থাকলে, তা ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ব্যাঙ্কে শুরু হচ্ছে ২০০০ টাকা নোটবদলের প্রক্রিয়া। কি করতে হবে? বিস্তারিত রইল এই প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুনঃ জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত হবে, ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে ঐতিহাসিক উদ্যোগ কেন্দ্রের।
২০১৬ সালে নোট বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সে বার ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। যা ঘিরে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বিপাকে পড়েছিলেন বহু মানুষ। এই নিয়ে সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। ৭ বছরের মাথায় এ বার ২ হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ১৮১ কোটি ২ হাজারের নোট তুলে নেওয়া হবে। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া।
আজ থেকে ব্যাঙ্কে শুরু ২০০০ টাকা নোটবদলের প্রক্রিয়া, কী করবেন?
গ্রাহকরা তাঁদের নিকটতম ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় যেতে পারেন। সেখানে নিজের অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ দিয়ে ২০০০ টাকার নোট জমা কিংবা বদল করে নিতে পারেন। ব্যাঙ্কগুলি আপনাকে একটি রিক্যুইজিশন স্লিপ দিতে পারে। সেগুলি গ্রাহককে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। সেই স্লিপে নাম, কত টাকা বদল করতে চান, কতগুলি নোট রয়েছে ইত্যাদি উল্লেখ করতে হতে পারে।

এছাড়া, গ্রাহকদের বিনিময়ের স্থান এবং তারিখও উল্লেখ করতে হবে। তারপরে গ্রাহকরা তাঁদের ২০০০ টাকার নোট সহ ব্যাঙ্কের দেওয়া ফর্মটিতে সই করে তা জমা দেবেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে। একটি বিবৃতি জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
একবারে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। যে কোনও ব্যাংকেই এই নোট জমা করে কিংবা বদলে ফেলে অন্য নোট নেওয়া যাবে। অর্থাৎ ২০০০ টাকার নোটকে বৈধ মুদ্রা বলেই গণ্য করা হবে। এই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অভিরুপ সরকার বলেন, “২০০০ টাকার নোট বাজারে দেখাই যাচ্ছিল না। আর তাই শেষ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে একদিকে ঠিকই করেছে। কারণ এত বড় অংকের নোট হল কালো টাকা রাখার সবচেয়ে সহজ পন্থা। সেইজন্য বড় অঙ্কের টাকা বাজারে না রাখাই ভালো।”