নজরবন্দি ব্যুরোঃ কারও কোলে একরত্তি শিশু, কারও হাতে পোস্টার, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁরা জড়ো হয়েছেন সল্টলেকের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনের সামনে। এরা রাজ্যের হবু শিক্ষক। চাকরি প্রার্থী। তাঁদের দাবি, তাঁরা টেট উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন, ডিএলএড রয়েছে, তার পরেও দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বঞ্চিত। এই হবু শিক্ষকদের মূল দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন নিয়োগের জন্যে। কিন্তু কথা রাখেননি।
আরও পড়ুনঃ কাশি, ক্লান্তি, নাক বন্ধ হলে করোনা নয়, হতে পারে অন্য রোগও, জানালো WHO
এদিন আচার্য ভবনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের হাতে ছিল নানা ধরনের পোস্টার। সেই পোস্টারের লেখা ছিল… ‘এবার নিয়োগ দিতেই হবে’, ‘২০১৪ টেট পাশ নট ইনক্লুডদের অবিলম্বে নিয়োগ চাই,’ ‘দিদি আপনি নিয়োগ দিন,’ ইত্যাদি। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন এই হবু শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, এত পড়াশুনা করে, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করে যদি নিয়োগ না দেওয়া হয় তাহলে আর জীবন রেখে লাভ কি?
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করার পর কেটে গেছে দীর্ঘ আট বছর। বেড়েছে বয়েস। হয়েছে অনেক আন্দোলন, অনশন কর্মসূচী। শুধু কপালে জোটেনি নিয়োগপত্র। বারবার সরকারের দ্বারস্থ হয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই আন্দোলনকেই শেষ রাস্তা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হবু শিক্ষকদের দাবি, ‘হয় নিয়োগ দিন, নয় স্বেচ্ছামৃত্যু’।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশোনের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযগ বারবার উঠেছে। একাধিকবার হাইকোর্টে এই বিষয়ে চরম অপমানের মুখে পড়েছে কমিশন। একাধিক মামলায় পরাজয় ঘটেছে রাজ্য সরকারের, তবুও চাকরিপ্রার্থীদের কপাল খোলেনি। এখন এসএসসি-র চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। শুভশঙ্কর সরকার কে সরিয়ে এসএসসির নয়া চেয়ারম্যান হয়েছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার।
‘হয় নিয়োগ দিন, নয় স্বেচ্ছামৃত্যু’, বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার হবু শিক্ষকদের।
চাকরিপ্রার্থীদের আশা নতুন চেয়ারম্যান, কিছু একটা করবেন যাতে কপাল খোলে হবু শিক্ষকদের। অবসান ঘটে দীর্ঘদিনের বঞ্চনার। কিছুটা আশার কথা অবশ্য ইতিমধ্যেই শুনিয়েছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেছেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে।