নজরবন্দি ব্যুরোঃ চোখ নয় মনের শুভদৃষ্টি, তাঁরা চোখে দেখতে পাননা। প্রিয় মানুষটিকেও চোখে দেখেননি একবারও। গোলাপের পাপড়ি একটা একটা করে ছিঁড়ে বলেননি, সে কি ভালোবাসে নাকি ভালোবাসে না। অনেক সময় কাছের মানুষ বা ভালোবাসা হয়তো আশপাশেই থাকে, কিন্তু বোঝা যায়না। কিন্তু ওঁরা যেন মনের মধ্যেই প্রিয় মানুষের ছবি এঁকেছেন। মনের মিল থেকেই ছাদনাতলা অবধি পৌঁছালেন জোৎস্না ও বাপি।
আরও পড়ুনঃ জমি তৈরি করেছেন পিকে, অধিবেশন কালেই ৫ দিনের দিল্লি সফর মমতার
বুধবার রাতে বিধাননগরে ভিমবার স্কুলে চার হাত এক হল। ছোটবেলা থেকেই জোৎস্না দাস বিধাননগরে ওই স্কুলে পড়াশোনা করেন। বছরখানেক আগে দিল্লীতে এক কলেজে ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে বাপি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় জোৎস্নার। এরপরই কয়েকদিন আগে বিধাননগরে এসে জোৎস্নাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বাপি। দু’জনে ভেবেছিলেন মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করবেন।
যদিও সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ে করা স্বপ্ন ছিল তাঁদের। কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে তাঁরা সাহায্যের আবেদন করে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন অনেকে। এরপরই বুধবার রাতে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়। ভিমবারের আবাসিকেরাই আয়োজন করেন।
চোখ নয় মনের শুভদৃষ্টি, ছাতনাতলায় চার হাত এক হল জোৎস্না ও বাপির।
চোখে যা দেখা যায় তা দ্রুত রহস্য হারায়। চোখে যা দেখা যায় না, যেমন ‘মন‘, অনেকদিন রহস্য ধরে রাখে। সেই রস্যকেই পাথেয় করেছে জোৎস্না ও বাপি। চোখ নয় মনের শুভদৃষ্টি, তাই চোখ দিয়ে নয় মনের দেখাতেই ওঁরা ছাতনাতলায়! ভাল থাকুন জোৎস্না আর বাপি। শুভকামনা রইল নজরবন্দির।