নজরবন্দি ব্যুরোঃ ‘শিশুর মত নিষ্পাপ শোভন’ জামিন পেতেই আহ্লাদে আটখানা বৈশাখী। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের রায় শোনার পরই বৈশাখী বলেন, “এই মুহূর্তটা ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের। সোমবার থেকে ট্রমায় ছিলাম।” এরপর বৈশাখীর সংযোজন, “‘২০১৬ সালে শোভন বাবু আমাকে বলেছিলেন, বিপদে পড়লে আমি যেন তাঁকে দেখি। আমি সেটাই করব। গত সাতদিন ঘুমোইনি। এখন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা যা বলবেন, সেই মতো ব্যবস্থা নেব।”
আরও পড়ুনঃ কলের গেরো! রাজ্য রিলিজ দিলনা আলাপন কে, নোটিস ফেরাল না কেন্দ্রও।
এর আগে গোলপার্কের আবাসনে ফেরার পর বৈশাখী জানান, ‘‘বাড়ির পরিবেশ ওঁকে অনেকটা শান্তি দিয়েছে। তিনি টিভি দেখছেন, খাচ্ছেন, খবর দেখছেন। অক্সিজেন, নেবুলাইজার কোনও কিছুরই দরকার পড়েনি। তবে এখনও বুকে অল্প ব্যথা আছে। হাসপাতাল থেকে ১৪ দিনের যে ওষুধ খেতে বলা হয়েছিল সেটা চলছে।”
কিন্তু এখন শোভনের রাজনৈতিক অবস্থান কি? বৈশাখীই বা এখন কি করবেন? বিজেপি কি ছেড়ে দিয়েছেন? অনেক প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজনীতির আঙিনায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন শোভন বা বৈশাখী দুজনেই পদত্যাগপত্র জমা দেননি। সুতরাং দুজনেই এখনও খাতা কলমে বিজেপিতেই রয়েছেন। শোভন সহ তিন নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে ধর্ণা দিয়েছিলেন তখন কৃতজ্ঞতায় বৈশাখী জয়গান করতে শুরু করেছিলেন মমতার।
বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর জন্যে জীবনও দিতে পারেন। তবে পরিস্থিতি বদলে যায় শোভনের জেল হেফাজত হতেই। জেল ছুঁয়ে চরম অসুস্থ হয়ে পড়া শোভন যখন এসএসকেএমের উডবার্নে চিকিৎসাধীন তখন বৈশাখী নারদ থেকে শোভনকে বাঁচানোর জন্যে ফোন করেন বিজেপি রাজ্য স সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে। যদিও পাত্তা দেননি জয়প্রকাশ। যাই হোক উডবার্নে ভর্তি হওয়ার আবদার মিটিয়ে বৈশাখীর ঠিকানা এখন শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাট। সেখানেই ভবিষ্যত স্বপ্ন বুনছেন যুগলে।
‘শিশুর মত নিষ্পাপ শোভন’ কি রাজনীতিতে ফিরছেন? জানা গিয়েছে রাজনীতিতে আর ফিরবেন না শোভন। যদি একন্তই ফিরতে হয়, তাহলে হতে চান কলকাতার মেয়র… দিদির হাত ধরেই। তবে বৈশাখীরও একটা হিল্লে হওয়া চাই।