নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ, রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুতেই মাত্র সাত দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১ থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার ২৩টি রিপোর্ট জমা পড়েছে। যার মধ্যে ২টি প্রাণহানির ঘটনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্টে এর উল্লেখ রয়েছে। বঙ্গে একের পর এক ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে বারবার সরব হযেছে রাজ্যে বিরোধী দলগুলি।
আরও পড়ুনঃ ৭এ মোদীকে স্বাগত জানাতে তৈরি ‘মমতাময়ী’ কলকাতা।
এই বিষয় নিয়ে রাজ্য বিজেপি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হয়েছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কেও বহুবার এই নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে। রাজ্যে ঘটা রাজনৈতিক হিংসার জন্য সরাসরি শাসকদলকেই দোষারোপ করেছেন রাজ্যপাল। ‘রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হচ্ছে’ এই অভিযোগ একাধিকবার করেছেন ধনকড়। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করা হল।
সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলার নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার সাথেই জারি করা হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই চলতে হবে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। এমন সময়ে নতুন করে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে। বাংলায় সুষ্ঠ ও অবাধ ভোট করতে তৎপর কমিশন। সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন করানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কমিশন।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েক কোম্পানি আধাসেনা বাহিনী রাজ্যে আনা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। রাজ্যে দু’জন পুলিশ পর্যবেক্ষকও পাঠাচ্ছে কমিশন। তাঁদের সর্বত্র অবাধ যাতায়াতের জন্য দুটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে রাজ্যে আর কোনও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে চাইছে সুনীল আরোরার নেতৃত্বাধীন কমিশন।
রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ, সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬৩টি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা উল্লেখ্য করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫৭টি প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছিল। জানা গেছে, বাংলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যে আনা হবে।