নজরবন্দি ব্যুরোঃ আজই পদত্যাগ, ভালো ব্যবধানে জিতেও মাস ঘোরার আগেই নিজের বিধায়ক পদ ছাড়ছেন শোভন দেব চট্টোপাধায়। ইতিমধ্যে রওনা হয়েছেন বিধানসভার উদেশ্যে। সেখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ-এর কাছে জমা দেবেন নিজের ভবনীপুরের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ পত্র।
আরও পড়ুনঃ করোনাকালে সুস্থ থাকতে রোজের খাদ্য তালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো।
বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ‘গড়’ পরিবর্তন করেছিলেন মমতা-শোভনদেব। রাজনৈতিক সফলতার কারণেই নিজেদের এতদিনের ঘর ছেড়ে দাঁড়িয়েছিলেন অন্য জায়গা থেকে। মুখ্যমন্ত্রী লড়াই লড়েছিলেন ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে, আর মমতার জায়গায় নিজের ঘর রাসবিহারী ছেড়ে ভবানীপুরে দাঁরিয়েছিলেন বহুদিনের সঙ্গী শোভনদেব চট্টপাধায়। জিতেওছিলেন বেশ ভালো ব্যবধানে। মমতার মন্ত্রিসভা ৩.০’র সদস্যও ছিলেন তিনি। হয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী। তবে তার কদিনের মধ্যেই আজকের এই পদত্যাগে অবক হচ্ছেননা কেউই।
২১ এর বিধানসভা নির্বাচন ছিলো এককথায় হাইভোল্টেজ ইলেকশন। একাধিক চমক। সে ্প্রার্থী তালিকা হোক বা বিধানসভা কেন্দ্র। ছিলো তৃণমূল কংগ্রেস দুই পক্ষের আস্ফালন। সব মিটেছে দিন কয়েক আগেই। বিজেপিকে কার্যত সেঞ্চুরির আগে থামিয়ে দিয়ে অনায়াসে ডবল সেঞ্চুরি করে নবান্নে পৌছে গিয়েছে মমতার সরকার। তৃণমূল সরকার।
কিন্তু নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুর বিরূদ্ধে লড়ে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রথম গণনায় জয়ী ঘোষণা হলেও পরের বারের গণনায় দেখা যায় অল্প ব্যাবধানে দিদিকে টেক্কা দিয়ে বেরিয়ে গেছে তারই প্রাক্তন সেনাপতি। তাই দলের হ্যাট্রিক জয়ের পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে ফিরতেই হোত কোন না কোন বিধানসভা থেকে। অনেকেই মনে করছেন শোভনদেবের এই পদত্যাগ সেই জিতে আসার গল্পের প্রথম ধাপ। ভোটের পর হয়তো ফের নিজের বড়ো বোনের কাছে ফিরতে চলেছেন মমতা।
১৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করে দিদিকে পুরোন ‘গড়’ ফিরিয়ে দিচ্ছেন শোভনদেব। সেক্ষেত্রে খড়দহ, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গীপুরের সঙ্গে ভবানীপুরেও হবে উপনির্বাচন। সম্ভাবনা প্রবল হল সেখান থেকে এবার খোদ লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গে শোভনদেব নিজের কথাও অনেকেই তুলে আনছেন, তিনি জানিয়েছিলেন “আপাতত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই আছেন উনি। আমার ইচ্ছা এখান থেকেই লড়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আর এরপর দল আমার জন্য যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই বিশ্বস্ত সৈনিকের মতো মাথা পেতে নেব। তবে বাংলাতেই থাকতে চাই।”
আজই পদত্যাগ, তবে পদত্যাগ করলেও এখনো কৃষিমন্ত্রী হিসেবেই বহাল থাকবেন শোভনদেব। লড়তে পারেন বাকি তিন জায়গায় কোন এক জায়গা থেকে। আপাতত সুস্থ থাকায় নিজের পুরানো আসন খড়দহ থেকে লড়তে পারেন অমিত মিত্রও। তবে অসমর্থিত সূত্রের খবর বিধানসভা ছেড়ে এবার রাজ্যসভায় যেতে পারেন শোভনদেব।