নজরবন্দি ব্যুরোঃ ১২ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত খোলা খুচরো দোকান, আরও একগুচ্ছ বিধি শিথিল রাজ্যের। রাজ্যে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ও সংক্রমণের চেন ভাঙতে গত ১৬ ই মে থেকে ১৫ দিনের জন্য নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে রাজ্য সরকার। মমতা একে বিধিনিষেধ বললেও আদপে একে কার্যত লকডাউন বলছে সবাই।
আরও পড়ুনঃ শুভ্রাংশু-র কলার টিউনে বাজছে বিদায়ের সুর, পিতা-পুত্র প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন সৌগত।
দুদিন আগে তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ১৫ ই জুন পর্যন্ত। তবে এবার সেই বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করল রাজ্য। আজ নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা নিজেই জানালেন সেকথা। বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান, বাজার। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত শাড়ি এবং গয়নার দোকান খোলা থাকার কথা। মিষ্টির দোকান খোলার ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ। তবে পাটশিল্প এবং নির্মাণ ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে গিফট আইটেম-সহ নানা প্রসাধনী সামগ্রীর খুচরো দোকানও খোলা রাখতে দেওয়া হোক এই আবেদন জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
সেই অনুরোধ অনুযায়ী বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খুচরো দোকান এবার থেকে বেলা ১২টা-৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে শুরু করা যেতে পারে কাজ। টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে এমন শ্রমিককে নিয়ে নির্মাণ কাজ করা যেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই দূরত্ববিধি মানা বাধ্যতামূলক।
১২ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত খোলা খুচরো দোকান, আরও একগুচ্ছ বিধি শিথিল রাজ্যের। রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধের জন্য বন্ধ রয়েছে ট্রেন, বাস এবং মেট্রো পরিষেবা। সেই পরিষেবা অবশ্য এখনই চালু হচ্ছে না। এদিকে কড়া লকডাউনের সুফল পেতে শুরু করেছে রাজ্য। অনেকটাই কমে এসেছে আক্রান্তের সংখ্যা। আগামীদিনে তা আরও অনেক কমবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
