নজরবন্দি ব্যুরো: অবশেষে প্রায় ৩০ ঘণ্টা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ হয়েছে বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্ধারকাজ। বর্তমানে এখন চলছে পুনরুদ্ধারের কাজ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরাগুলি সরানো হচ্ছে। যার ফলে দুর্ঘটনার কারণেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই রুটের রেল চলাচল পরিষেবা। আজও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে শুধু আজ নয়, আগামীকাল অর্থাৎ সোমবারও বাতিল একাধিক ট্রেন। পাশাপাশি মঙ্গল এবং বুধবার ওই লাইনে একটি করে ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল।
এপ্রসঙ্গে ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবারও চলবে না একাধিক ট্রেন। এদের মধ্যে রয়েছে ১৮০৩৮ জাজপুর-কেওনঝাড় রোড-খড়্গপুর এক্সপ্রেস, ১৮০৪৪ ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস, ২২৮৫৬ তিরুপতি-সাঁতরাগাছি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, ০৮৪১১ বালেশ্বর-ভুবনেশ্বর এক্সপ্রেস, ০৮৪১৫ জলেশ্বর-পুরী এক্সপ্রেস, ২২৬০৫ পুরুলিয়া-ভিল্লুপুরম এক্সপ্রেস। এছাড়াও মঙ্গলবার বাতিল করা হয়েছে গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। বুধবার বাতিল করা হয়েছে ১২৫৫২ কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। তবে তারপর থেকেই র্ঘটনাগ্রস্ত রুটে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলেই আশা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

এপ্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ট্যুইটারে জানিয়েছেন যে, রবিবার দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট থেকে ডাউন মেন লাইন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হয়েছে। তাছাড়াও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ওড়িশার বালেশ্বরে মেরামতির কাজ চলছে। ১০০০ জনের বেশি ব্যক্তি অবিশ্রান্ত ভাবে কাজ করে চলেছেন। অন্যদিকে, যাত্রীদের জন্য সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে বিশেষ ঘোষণা করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। রবিবার তিনি জানান যে, পুরী, কটক ও ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতা অবধি বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। আজ থেকে দৈনিক ৫০টি করে বাস চলবে। আর এটি সম্পূর্ণ নিখরচায়। অর্থাৎ এই বাসে যাতায়াত করতে যাত্রীদের কোন খরচ করতে হবে না বলেই জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
প্রসঙ্গত, করমণ্ডলে প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ওড়িশার হাসপাতালে ভর্তি ১১০০-রও বেশি যাত্রী। সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন অনেকেই। অন্যদিকে, যাদের পরিবারের লোকজনেরা ওই এক্সপ্রেসে ছিলেন, তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন অনেকেই। এহেন পরিস্থিতিতে রেল দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজ পেতেই ওড়িশা সরকারের তরফে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, আজ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ঘোষণা করলেন যে, বালেশ্বরের দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন যারা, তাদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।