নজরবন্দি ব্যুরো: আচমকাই দিল্লির পথে শতাব্দী , অমিত শাহের সঙ্গে দেখা হওয়া প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিল্লি যাচ্ছি, পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হতেই পারে। দেখা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, এলাকায় যেভাবে যেতে চাইছেন, সেভাবে পারছেন না। মনে হচ্ছে নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হবে না। ‘যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই, সেই পদে থাকা অর্থহীন’। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের সাংসদকে দলে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার তাঁরও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে এমনটাই জল্পনা।
আরও পড়ুন: জরুরি তলবে আজই দিল্লি যাচ্ছেন দিলীপ-মুকুল।
বৃহস্পতিবার শতাব্দী রায়ের একটী ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শতাব্দী রায় ফ্যানস ক্লাব’-এর পেজে সাংসদের নামে একটি বয়ান প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে নাম না করে দলেরই কারও কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি তাঁর বার্তা, “আপনাদের সঙ্গে আমার নিবিড় যোগাযোগ। আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভাল লাগে। কিন্তু মনে হয়, কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না।’’ এখানেই না থেমে ‘নতুন সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার ইঙ্গিতও ওই পোস্টে দিয়ে রেখেছেন শতাব্দী। আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর ২টোয় তিনি ওই সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
আচমকাই দিল্লির পথে শতাব্দী, বিজেপিতে স্বাগত বললেন দিলীপ। এদিন সাংবাদিকদের ফোনের উত্তর দেননি শতাব্দী। তবে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার লক্ষ্য যে বীরভূমের শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব, আরও সরাসরি বললে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তা শতাব্দী-ঘনিষ্ঠেরা মনে করছেন। সাংসদের পোস্টের কথা জেনে অনুব্রত বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পদযাত্রায় পাঁচ লক্ষ লোকের সামনে কে হেঁটেছেন, সবাই দেখেছেন। তার পরেও কেন এ সব লিখেছেন, সেটা তিনিই ভাল বলবেন।’’ প্রসঙ্গত, গত ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরে পদযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল শতাব্দীকে।