‘মমতাদি’র প্রতিই আস্থা’, অভিষেক প্রিয় নেতা, তৃণমূলকে স্বস্তি দিয়ে নতুন পোস্ট শতাব্দীর

নজরবন্দি ব্যুরো: ‘মমতাদি’র প্রতিই আস্থা’, তৃণমূল দলের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীর। ক্ষোভ এবং দলের মধ্যে নিজেদের গুরুত্ব কমে যাওয়ার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন দল বদলের হিড়িকে গা ভাসিয়ে অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন। যা কিনা আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে দলের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বৈকি। অস্বস্তি আরও বাড়ে যখন শতাব্দী রায় অবধি বিদ্রোহ করে বসেন। যদিও সেসব এখন অতীত। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপরেই যে তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। হ্যা, শুক্রবার রাতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সঙ্গে তার বৈঠক সমস্ত জল্পনায় ইতি টেনেছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নিরাপত্তা সহ প্রধানমন্ত্রীর দফতর! বহু গোপন তথ্য জানতেন অর্ণব! উঠল গ্রেফতারির দাবি
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শতাব্দী রায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শতাব্দী রায় ফ্যানস ক্লাব’-এর পেজে সাংসদের নামে একটি বয়ান প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে নাম না করে দলেরই কারও কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি তাঁর বার্তা, “আপনাদের সঙ্গে আমার নিবিড় যোগাযোগ। আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভাল লাগে। কিন্তু মনে হয়, কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না।’’
এরপরেই শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বীরভূমের এই সাংসদ জানিয়েছেন, ‘বীরভূমের নাগরিকদের প্রতি-আজ একটি পোস্ট করব বলেছিলাম। এই লেখার মাধ্যমে আমার বক্তব্য জানাচ্ছি।আমাকে কয়েকজন প্রশ্ন করছিলেন কেন এলাকার বহু কর্মসূচিতে আমাকে দেখা যাচ্ছে না। অথচ আমি তো চাই এলাকার মানুষের পাশে থাকতে। কিছু সমস্যা হচ্ছে। কিছু যন্ত্রণা অনুভব করছিলাম। চেষ্টা করছি সব বাধা টপকে এলাকায় সবসময় থাকার। বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম আপনাদের। এই সূত্রেই কিছু বহুমুখী ঘটনা ঘটছিল। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল পরিবারের প্রিয় নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। আমি সমস্যার জায়গাগুলি জানিয়েছি। তিনিও শুনেছেন এবং আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা ইতিবাচক। সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী।’
শতাব্দী আরও লিখেছেন, ‘সামনে নির্বাচন। যাঁরা তৃণমূলের কর্মী বা নেতা, আমার মতোই তাঁদের কিছু ক্ষোভ বা বক্তব্য থাকতেই পারে। আমরা সেগুলি দলের মধ্যেই মেটাবো। ভোটে জয়ের পর পর্যালোচনা করব। এখন সবাই হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করার সময়। আসুন সবাই মমতাদির নেতৃত্বে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলার স্বার্থে কাজ করি। আমি যখন তৃণমূলে এসেছিলাম তখন সিঙ্গুর আন্দোলন চলছে। দল ক্ষমতায় নেই। কঠিন সন্ধিক্ষণ। শুধু দলকে ভালোবেসে, মমতাদিকে ভালোবেসে আমি এসেছিলাম। আজ আবার যখন সবাই বঙ্গরাজনীতির সন্ধিক্ষণ বলছেন, তখন আমার দলের মঞ্চ থেকেই লড়াই করার কর্তব্য থেকে পিছিয়ে যাব না।’
‘মমতাদি’র প্রতিই আস্থা’, তিনি আরও বলেন, আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিচ্ছি। যেভাবে তিনি সমস্যা শুনেছেন, আলোচনা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তাতে আমি নিশ্চিত তরুণ নেতাটি এখন যথেষ্ট দায়িত্বশীল ও পরিণত। নতুন প্রজন্মের এমন নেতার নেতৃত্ব দলকে শক্তিশালী করবে। তৃণমূল কংগ্রেস আবার জিততে চলেছে।আমি দলের সৈনিক হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করে যাব। সেই সঙ্গেই আরও বেশি করে নিবিড়ভাবে থাকব আমার বীরভূমের মানুষের পাশে।’