নজরবন্দি ব্যুরোঃ সোমবার আদালতে পেশ করা হয় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর কথায়, অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টাকা। একইসঙ্গে শান্তনুর দাবি মাস্টারমাইন্ড হল কুন্তল ঘোষ। মিথ্যে অভিযোগ করে সকলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নিজের টাকা অন্য রাজ্যে সরিয়ে দিচ্ছে কুন্তল।
আরও পড়ুনঃ Oscars 2023: এবারের অস্কারে কে কী হলেন? দেখে নিন তালিকা এক নজরে
নিয়োগ দুর্নীতিতে হুগলীর বলাগড়ের দুই যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ১১১ কোটি টাকা শান্তনুর সম্পত্তি রয়েছে। একজন ছাপোসা ব্যক্তি রাতারাতি কীভাবে এত বিরাট সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও এবিষয়ে কুন্তলের যুক্তি, সকলকে বিভ্রান্ত করে অন্য রাজ্যে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে কুন্তল। আমি এ সবের সঙ্গে জড়িত নই। আমার সব সম্পত্তি বৈধ। আগামী দিনেই তা প্রমাণিত হবে। কুন্তল কয়েক শো এজেন্টদের থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে।
গ্রেফতারের আগে একাধিক বার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডি ও সিবিআই। এরই মাঝে শান্তনুর বাড়ি থেকে একাধিক তথ্য উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় ৩০০ জন চাকরি প্রার্থীদের তালিকা। সেই তালিকার সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে পাওয়া তথ্যের কোনও মিল রয়েছে কিনা, তা খুঁজছে তদন্তকারী সংস্থা। শান্তনুর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
নিজের টাকা অন্য রাজ্যে সরিয়ে দিচ্ছে কুন্তল, অভিযোগ শান্তনুর

শান্তনু সম্পর্কে বলাগড়ের তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বরাবর বলাগড়ে তৃণমূলের আধিপত্য ছিল। তা স্বত্বেও নিজের পেটোয়া লোককে প্রার্থী করে জেতার জন্য সন্ত্রাস চালিয়েছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাঁদের জেতাতেই এই কৌশল করেছিল শান্তনু। যার ফলাফল হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকায় পিছয়ে পড়ে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ। একাধিক নেতাদের বক্তব্য, তাঁদের ওপরেও হামলা হতে পারে। এই ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি অনেকেই।