নজরবন্দি ব্যুরো: বিশ্বে সেরা ফুটবলারের মধ্যে একজন সেনেগালের সাদিও মানে। তাঁর খেলোয়াড় শৈলী নিপুণতা ও একনিষ্ঠতার জন্য তিনি আজ সারাবিশ্বের তরুণ ফুটবলপ্রিয় দর্শকদের কাছে দারুন জনপ্রিয়।লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের এই তারকা ফুটবলারটি সপ্তাহে প্রায় এক কোটি টাকার অধিক উপার্জন করেন।সাদিও মানে আফ্রিকা মহাদেশের গরিব দেশ স্রেনেগালের এক হত দারিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। তাঁর আজকের অবস্থান শুধু মাত্র তাঁর পরিশ্রমে আর একাগ্রতায় প্রাপ্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফারুখের পর এবার টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করলেন শাস্ত্রী

সাদিও মানের পরিবার এতটাই দারিদ্র ছিল যে ছোটবেলায় তাঁকে না খেয়েও রাত কাটাতে হয়েছে । এমনও দিন গেছে খিদের জ্বালায় মাটি পর্যন্ত খেয়েছেন, তবুও মনের জোর আর খেলার প্রতি ভালোবাসা কোনদিনই কমে নি। তাঁর জীবনে সংগ্রাম করে উঠে আসার কাহিনি উঠেছে আসা ফুটবলারদের যেমন মনে সাহস যোগাবে তেমনি অনুপ্রেরনাও জাগাবে। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সেরা তরুণ খেলোয়াড় হওয়া সত্বেও সাদিও তাঁর জীবন যাপনে শৃঙ্খলা আর সাধারণতা মেনে চলেন। শুনতে হয়তো আবাক লাগবে তিনি এখনো তাঁর ভাঙ্গা আইফোন-৭ টাই ব্যবহার করে চলেছেন।

এক তারকা ফুটবলারের উঠে আসার গল্প, চিনে নিন সাদিও মানেকে

আফ্রিকান এই প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড়টির জীবনে সফলতার পাশাপাশি আরো যেটি তাঁর জীবনকে উজ্জল করেছে সেটি হলো মনুষত্ব বোধ। এত সাফল্যের পরেও তিনি তাঁর ফেলে আসা দেশ গ্রাম ও সেই সকল মানুষদের ভুলে যাননি যারা তাঁর এক সময় পাশে ছিলেন। আর তাঁদের জন্যই তাঁর উপার্জনের বড় একটা অংশ তিনি দেন তাঁর প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থায় যা থেকে তাঁর দেশ স্রেনেগালের ও তার গ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা হয়।

এক তারকা ফুটবলারের উঠে আসার গল্প, চিনে নিন সাদিও মানেকে
এক তারকা ফুটবলারের উঠে আসার গল্প, চিনে নিন সাদিও মানেকে

মাত্র নয় বছর বয়সে পিতাকে হারিয়েছিলেন সাদিও মানে। পিতার মৃত্যু হয় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়বন্ধ হয়ে। সেই সময় ছোট সাদিও মানে গ্রামের ফুটবল মাঠে ফুটবল খেলছিলেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার বাবা যখন অসুস্থতায় যন্ত্রনা কাতর ছিলেন আমরা তাঁর চিকিৎস্যার ব্যাবস্থা করতে পারিনি। কারণ তাদের গ্রামের কাছাকাছি কোন সরকারি হাসপাতাল ছিল না। আমার বাবার মৃত্যু আমাকে কষ্ট দিয়েছিল। তখন থেকেই আমি একটি হাসপাতালের অভাব অনুভব করেছি। আর তখন থেকেই তিনি সেনেগালের গ্রামের বাড়িতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে একটি আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্পন্ন বহুতল হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন, যাতে তাঁর বাবার মতো আর কাউকে বিনা চিকিৎসায় মরতে না হয়।

এক তারকা ফুটবলারের উঠে আসার গল্প, চিনে নিন সাদিও মানেকে

এক তারকা ফুটবলারের উঠে আসার গল্প, চিনে নিন সাদিও মানেকে
এক তারকা ফুটবলারের উঠে আসার গল্প, চিনে নিন সাদিও মানেকে

লিভারপুরের তারকা সাদিও মানে তাঁর মনের উদারতার অনেক পরিচয় দিয়েছেন। একবার তিনি তাঁর গ্রামের স্কুলে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন সেখানে অর্থের অভাবে স্কুল বাড়ি তৈরি হয়নি। সেখানে তিনি তার অর্থায়নে স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন।