নজরবন্দি ব্যুরো: অবিশ্বাস্য, ঐশ্বরিক, অপার্থিব। যে কোনও বিশেষণই হয়তো ম্যাক্সির অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংসকে ব্যাখ্যা করার জন্য কম পড়বে। ক্রিকেটকে দলগত খেলা বলে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁদের সমীকরণ একেবারে গুলিয়ে দিলেন অজি তারকা। একাহাতে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে দিলেন।
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে কোন দেশ? ভবিষ্যদ্বাণী করলেন সৌরভ
পায়ে ক্র্যাম্প আর পিঠে টান ধরা নিয়েই, কার্যত একপায়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থেকে অসাধ্য সাধন করলেন তিনি। গোটা বিশ্ব এহেন তারকাকে কুর্নিশ জানাবে, সেটাই স্বাভাবিক। ১৯ ওভারের মধ্যেই ৯১ রানে ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সম্ভাবনা দেখাচ্ছিল মাত্র ১ শতাংশ।
এরপরই ম্যাক্সওয়েল ঝড়। শেষ অবধি মাত্র ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ছয় মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ এবং দলের জয় নিশ্চিত করেন। মুম্বইয়ের প্রচণ্ড গরমে হিমশিম অবস্থা ছিল ম্যাক্সির। ক্রিকেট শিখতে আসা প্রত্যেককেই বোঝানো হয় ফুটওয়ার্কের কথা। কেরিয়ারের শেষ দিন পর্যন্তও একজন ব্যাটারের জন্য ফুটওয়ার্ক খুবই জরুরি।
কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফুটওয়ার্ক ছাড়াও যে বিধ্বংসী ইনিংস খেলা যায়, ম্যাক্সওয়েল যেন সেটাই দেখিয়েছেন। কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরও মুগ্ধ ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসে। ম্যাক্সির ইনিংসের বিশ্লেষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন,
‘জীবন এবং ক্রিকেটের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। অনেক সময় এগনোর জন্য পিছোতে হয়। ঠিক যেন স্প্রিংয়ের মতো। ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসটাও তেমনই। ক্র্যাম্পের জন্য ফুটওয়ার্কই করতে পারছিল না।
ম্যাক্সির অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস, কী বললেন সচিন?
কিন্তু ওকে ক্রিজে থাকতেই হত। ফুটওয়ার্ক না থাকার ফলে ওকে কিন্তু মাথা সোজা এবং জায়গায় শক্তভাবে দাঁড়িয়ে শট খেলতে হয়েছে। পরিস্থিতি ভিন্ন হলে নিজেকেও সেই অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে যেন কোনও ফুটওয়ার্ক না থাকাটাই দুর্দান্ত ফুটওয়ার্ক।’