নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্যের একটা বিশাল সংখ্যক ভোটার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। করোনা আবহে লকডাউনের জেরে যার প্রবল প্রভাব পরেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপর।ভিনরাজ্য থেকে এ রাজ্যে ফিরে আসা মানুষগুলিকে সব থেকে বেশি সমস্যার মুখে পরতে হয়। রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সেই সমস্ত মানুষগুলির ভোট কারা পাবেন সেই প্রশ্নই উঠছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, শাসক দলের একাধিক প্রকল্পের সুফল ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে সাহায্য করবে তৃণমূলের।
আরও পড়ুনঃ অভিষেক আপডেট: BJP নেতারা দিল্লি থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জারি আর ফেসবুকে উন্নয়ন করেন, কাজ করেননা
অপরপক্ষের বক্তব্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নতি না হওয়ার কারণেই রাজ্যের একটা বিশাল সংখ্যক মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হতে বাধ্য হয়েছেন। তৃণমূলের দাবি,প্রায় ১০ বছর মমতার আমলে প্রায় ১.৩৬ কোটি মানুষ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে নিযুক্ত হয়েছেন। ফলে রাজ্য থেকে শিল্প উত্পাদন ও রপ্তানি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের পক্ষে জানানো হয়, বিগত ন’বছরে এমএসএমই-তে ১১ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি হিসাবে বেড়েছে।
এমনকি অতিমারিরও তেমনভাবে ক্ষতি করতে পারেনি এই ক্ষেত্রে। মমতার সরকার ‘কর্মসাথী’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সাধারণ শ্রমিক-সহ পরিযায়ী শ্রমিকদেরও কাজের ব্যবস্থা করার লক্ষ্য নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। এছাড়াও একাধিক প্রকল্প যেমন, সিঙ্গুরে ‘অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ ও মেদিনীপুরে ‘খাসজঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট’ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।
এমনকি কোভিডের সময়ে রাজ্যবাসীর সুরক্ষার জন্য মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজার তৈরি করেছে ‘তন্তুজ’। এবং চর্মশিল্পকে উন্নত করে তুলতে মেগা লেদার ক্লাস্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরিযায়ী সমস্যা মোকাবিলায় আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে।